“গর্ভবতী হাতিহত্যা লজ্জায় মাথা হেঁট করে দিয়েছে”! প্রতিবাদে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি মিমির

কেরলে গর্ভবতী হাতিকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন টলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পশুপ্রেমী মিমি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবার খোলা চিঠি লিখলেন কেরলের

মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে। একইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন।

খোলা চিঠিতে মিমি লেখেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক সরকার। জঙ্গল এলাকায় আশেপাশে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের আরও বেশি সচেতন করে তোলা হোক বলে দাবি করেন মিমি।

উল্লেখ্য, কেরলের পালাক্কর জেলায় গর্ভবতী হাতির নির্মম হত্যার ঘটনায় মানসিক যন্ত্রনা পেয়েছেন মিমি। বিজয়ন ও
জাভরেকরকে খোলা চিঠিতে মিমি লেখেন, “কেরলের নির্মম ঘটনায় অন্যদের মতো আমিও শোকাহত। আনারসের মধ্যে
বিস্ফোরক পদার্থ ঢুকিয়ে দিয়ে একটি গর্ভবতী হাতিকে নৃশংসভাবে হত্যার পৈশাচিক ঘটনায় একজন ভারতীয়
হিসাবে ও একজন পশুপ্রেমী হিসাবে লজ্জায় আমার মাথা হেঁট করে দিয়েছে। শুধুমাত্র এই ঘটনায় নয়, ওই জেলায় সব সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। শুধুমাত্র হাতি নয়, রাস্তার কুকুর, বিড়ালদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয় কেরলে। বন্য প্রাণীদের রক্ষা করা প্রত্যেকটা মানুষের কর্তব্য, এরই সঙ্গে রাজ্য সরকারের উচিত সেখানকার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে মিলিতভাবে চাষী ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া। পালাক্কর জেলার মানুষ নিজেদের ফসল রক্ষার্থে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের মধ্যে অনেকদিন ধরেই বিস্ফোরক মিশিয়ে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করে, তাই তাদের কাছে বিষয়টা খুব একটা বেদনাদায়ক নয়। ওদের কাছে এটা একটা সহজ ব্যাপার। কেরল সরকারের উচিত সবার আগে সঠিক ভাবে চাষের জমি এবং বনাঞ্চলের মধ্যে শক্ত বেড়া বা জালের ব্যবস্থা করা, তাতে করে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।”

Previous article১১ জুন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে হাইকোর্ট খুলবে
Next articleহ্রদ থেকে উঠে আসছে আস্ত গ্রাম!