২৪ ঘণ্টায় উত্তরপাড়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির কিনারা: জালে পুরনো ‘পাপী’!

২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপাড়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির কিনারা করল চন্দননগর পুলিশ। বামাল ধরা পড়ল ডাকাত দল। শুক্রবার উত্তরপাড়া রাজেন্দ্র এভিনিউয়ের একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কে ভরদুপুরে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।ডাকাতির পর ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে চন্দননগর পুলিশ। ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৩২৫ টাকা লুঠ করে পালানোর সময় কয়েকটা টাকার বান্ডিল রাস্তায় ফেলে যায় ডাকাতরা। তদন্তে নেমে তথ্য-সূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয়। প্রীতম ঘোষ ওরফে বাবাই ওরফে বাবু ওরফে দেবজিৎ নামে মূল অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ । পেট্রল পাম্প ডাকাতির ঘটনায় ২০১৪ সালে ওড়িশায় ধরা পড়ে জেল হয় প্রীতমের। চৌদহা জেল থেকে ফেরার হয় সে। দশ-বারোটা ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায়। সোনার দোকানে ডাকাতি, পেট্রোল পাম্প ডাকাতি ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।

ডাকাতির পর ভদ্রকালীতে জঙ্গলে টাকা ভাগ করতে জড়ো হয় দুষ্কৃতীরা। সঞ্জয় পাশেয়ান(ছোটু), তাপস দাস(গোপাল), সঞ্জীব পাশোয়ান ছিল সেখানে। গ্রেফতারের পরে তাদের থেকে প্রীতম ওরফে দেবজিতের নাম জানতে পারে পুলিশ। চুঁচু্ড়া রবীন্দ্রনগরে প্রীতমের শ্বশুরবাড়ি পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। তার থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার হয়।

লকডাউনের সময় বিহারের বসেরা গ্রাম থেকে সাইকেল নিয়ে এলাকায় আসে বৃহস্পতিবার। উত্তরপাড়ায় এক সময় থাকত প্রীতম। ব্যাঙ্কে দুবার গিয়ে রেইকি করে। বাস কনডাক্টর সঞ্জয় পাশোয়ান, তাপস রং মিস্ত্রী, সঞ্জীব পাশোয়ান ড্রাইভার-এরা তিনজনই প্রীতমের পূর্ব পরিচিত।ধৃতদের কাছ থেকে একটি বাইক, একটি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে, যেটা ডাকাতিতে ব্যবহার করা হয়।একটি ওয়ান শাটার উদ্ধার হয়।

Previous articleসবুজের অভিযান: গাছ লাগালেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনার
Next article‘বাঘবিধবা’ অষ্টম খণ্ড