১৫০০ কিলোমিটার পথ রিকশা চালিয়ে সেই হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে ফিরলেন গোরাহারের বাসিন্দা বৃদ্ধ পরিযায়ী শ্রমিক মহম্মদ সুলতান।
লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন মহম্মদ সুলতান। একটু একটু করে শেষ হয়ে গিয়েছিল সব টাকা পয়সা৷ দিশাহারা হয়ে শেষপর্যন্ত নিতে বাধ্য হলেন এই দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত৷ স্রেফ সাহস আর বাড়ির টানেই রিকশা চালিয়ে ফিরে এলেন
মরণজয়ী সুলতান৷
বৃদ্ধ এই পরিযায়ী শ্রমিক ইটাহারে এসে পৌঁছাতেই তাঁকে খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ৷ তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে৷ আপাতত সুলতানকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
এত দীর্ঘপথ রিকশা চালিয়ে চোখে মুখে তাঁর স্পষ্ট ক্লান্তির ছাপ, তবুও খুশি মহম্মদ সুলতান। ঘরের মানুষকে কাছে পেয়ে আরও খুশি তাঁর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবার।
দু’বছর আগে উপার্জনের খোঁজে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে হরিয়ানার গুরগাঁওতে পাড়ি দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের গোরাহার গ্রামের ৬০ বছরের মহম্মদ সুলতান। গুরগাঁওতে কখনও রিকশা চালিয়ে কখনও বা সাফাই কর্মীর কাজ করে অর্থ উপার্জন করে ইটাহারের বাড়িতে পাঠাতেন। করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের বন্ধ হয়ে যায় তাঁর কাজ। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে আধপেটা খেয়ে কিছুদিন কাটানোর পর একবার ভেবেছিলেন পায়ে হেঁটেই হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে ইটাহারে পৌঁছে যাবেন৷ বয়সের কথা ভেবে সেই সিদ্ধান্ত বদলে এক সহকর্মীর কাছ থেকে রিকশা চেয়ে নেন। সেই রিকশা চালিয়েই ঘরে ফিরলেন ইটাহারের সুলতান৷