‘আমফান’ ও ‘নিসর্গ’ শেষ নয়। আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। যার নাম ‘গতি’। ‘আমফান’এর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বাংলা। মে মাসের ২০ তারিখ সারা বাংলাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এরপর ‘নিসর্গ’ গিয়েছে মহারাষ্ট্রের ওপর দিয়ে। সেখানেও প্রায় একই অবস্থা। ‘নিসর্গ’ নামটি বাংলাদেশের দেওয়া যার অর্থ ‘প্রকৃতি’।
এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘গতি’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ভারত।
ঘূর্ণিঝড়ের আরও নতুন নামাবলিও তৈরি। আগে নাম রাখার দায়িত্বে ছিল ৮টি দেশ। রাখা হয়েছিল ৬৪টি নাম। এ বার তালিকা লম্বা। ১৩টি দেশ মিলে নাম রেখেছে ১৬৯টি। সাগরের জঠরে জন্ম হলেই সেই নামে দুনিয়া চিনবে ঘূর্ণিঝড়কে।
নামকরণের এই চল উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসেছে অনেক পরে। প্রবণতা প্রথম দেখা যায় প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিকের ক্ষেত্রে। ১৯৫৩ সালে শুরু হয় হারিকেনের নাম দেওয়া। শুরুতে বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ের নাম হত মেয়েদের নামে। পরে আবার ছেলেদের নামের চল দেখা যায়। গোটা বিশ্বেই যে দেশগুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়ে, নামকরণ তারাই করে। যেমন, দক্ষিণ চিন সাগরে সৃষ্ট টাইফুনের নাম ঠিক করে ওই অঞ্চলের দেশগুলি। আমেরিকা ও তার পড়শি দেশ মিলে ঠিক করে আটলান্টিকের হারিকেনের নাম। টাইফুন বা হারিকেনের আনাগোনা সাইক্লোনের চেয়ে বেশি। তাই একই নাম ঘুরে-ফিরে আসার চল রয়েছে। সাইক্লোনের ক্ষেত্রে অবশ্য এক নাম দু’বার ব্যবহারের চল নেই।
তবে ‘বুলবুল’, ‘হুদহুদ’, ‘আমফান’ এবং ‘নিসর্গ’র পর পালা ‘গতি’র।