তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলীয় বিধায়করা নিজেদের বিধানসভা অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন। করোনা এবং আমফান মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার খতিয়ান তুলে ধরছেন বিধায়করা। একইসঙ্গে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির অপপ্রচার নিয়ে সরব হচ্ছেন তৃণমূল মন্ত্রী তথা বিধায়করা। তুলে ধরা হচ্ছে কেন্দ্রের ব্যর্থতাও।
আজ, রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা ভবানীপুর অঞ্চলে কর্মিসভা সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধীদের অপপ্রচার এবং কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিবাচক প্রয়াস ও ভূমিকা তুলে ধরেন।
এক নজরে দেখে নিন ঠিক কী বললেন ফিরহাদ হাকিম-সুব্রত বক্সি।
১) কোভিড নিয়ে বাংলাকে বলা হয়েছিল, “উহান অব ইন্ডিয়া”! যারা আমাদের সরকারের সমালোচনা করেন। তাদের বলি, আপনি আচারি ধর্ম অপরে শেখাও।
২) কত কথা বলা হয়েছিল। গুজরাতের থেকে বাংলার অবস্থা নাকি খুব খারাপ। দিলীপবাবু বলছিলেন, আমেরিকার মতো গুজরাত উন্নত। কিন্তু বাস্তবে, আমাদের রাজ্যের তুলনায় বেশি সংক্রমণ গুজরাতে।
৩) বাম আর রাম এক হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কোর্টে দেখা হবে, কোর্টে জবাব দেবো।
৪) কলকাতা পুরসভার কর্মীদের অ্যাটেনডেন্ট হবে রোস্টারের মাধ্যমে। কলকাতাকে পরিষ্কার রাখতে মানুষের সেবা দিতে ৭০% কর্মীর উপস্থিতি প্রয়োজন।
৫) বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সমানভাবে মানুষের পাশে রয়েছেন।
৬) কোভিডের সঙ্গে, আমফানের সঙ্গে লড়াইতে ১ লক্ষ কোটি দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। এখনও ৫৩ হাজার কোটি না দিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র।
৭) ই-গভরনেন্স করা হয়েছে। সরকারের টাকা খরচ এভাবে হয় না। যখন হাততালি বাজাচ্ছিলেন শ্রমিকদের কথা ভাবলেন না কেন?
৮) মুম্বই-দিল্লিতে কোভিড ছড়ানো হল। মা মারা গেলে তাঁকে বাংলার অ্যাম্বাসডর শাহরুখ আশ্রয় দিলেন।
৯) অত্যন্ত খারাপ দিন আসছে। বাংলার বিরুদ্ধে
বলা হচ্ছে আর নয় মমতা। কিন্তু সাধারণ ঘরের মেয়ে মমতা, এটাই বাংলার প্রতীক। গুজরাত থেকে এসে বাংলা দখল করতে চাইছে। মানুষ মমতার সঙ্গে ছিল আছে আর থাকবে।
১০) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছেন তা মানুষ দেখেছে। সুন্দরবন তছনছ হয়ে গিয়েছিল। মমতা ছুটে গিয়েছিল।