মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন,” কেন্দ্রের ভালো কাজ বাংলায় হতে দিচ্ছেন না মমতা। আটকে দিচ্ছেন। রাজ্যে যেদিন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন, তার পরের মিনিটে আয়ুষ্মান ভারত শুরু হবে। সিএএ-র বিরোধিতা করায় মমতাদিদিকেই ভোটের পর রাজনৈতিক শরণার্থী হতে হবে। মমতাদি যদি শনিবার কৃষকদের তালিকা দেন, সোমবার তাদের ব্যাঙ্কে ছহাজার টাকা চলে যাবে। মমতাদিদি, রাজনীতির লড়াই আমরা রাজনীতিতে লড়ব। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলার গরিব মানুষ, কৃষক, শ্রমিককে বঞ্চিত করছেন কেন?” অমিত এদিন মূলত মোদি সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরেন। আর তার সঙ্গে বাংলার তুলনা করতে থাকেন। করোনাযুদ্ধে কেন্দ্রের ভূমিকার কথা বলেন। কেন্দ্রের কোন স্কিমে বাংলার কতজনের উপকার হয়েছে আর কোন স্কিম বাংলায় হতে দেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আবার বলেন,” কৃষকদের তালিকা দিন। টাকা পাঠাব।” অমিত বলেন,” মমতা বলেছেন আপনারা সামলান। রাজ্যবাসী ওঁর ইচ্ছে শিগগিরই পূরণ করবেন। বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন।” পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানোর ইস্যুতে অমিত বলেন,” শ্রমিক এক্সপ্রেসকে করোনা এক্সপ্রেস বলেছেন মমতা। এটা অপমান। শ্রমিকদের ক্ষতে নুন ছিটিয়েছেন। এই ট্রেনেই মমতাকে বাংলা থেকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করবেন গরিবরা।” অমিত শাহ তৃণমূল সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন। পরিবর্তনের আওয়াজ তোলেন। হিংসা, বিরোধীদের কাজ করতে না দেওয়া, গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ, তোলাবাজির অবসানের কথা বলেন। অমিত বলেন,” হিংসার কাদা কত ছড়াবেন, সেখানে পদ্ম ফুটবে। কেন বিজেপির সাংসদদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না?” অমিত বলেন,” দুর্নীতির বহু খবর আমার কাছে আছে। তা থাক। কিন্তু করোনা, আমফান নিয়েও দুর্নীতি মানব না।” অমিত বলেন,” বাংলার মানুষ বামেদের সুযোগ দিয়েছেন, তৃণমূলকে সুযোগ দিয়েছেন, একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন।” অমিতের ভাষণ কার্যত বিধানসভা ভোটের প্রচারে পরিণত হয়। বাংলার স্বার্থে কী কী কাজ কেন্দ্র করেছে, তার বিস্তারিত বলেন। অমিত বলেন,” বাংলার অগ্রগতির জন্য একটা সুযোগ বিজেপি চাইছে। মোদিজীকে অধিকার দিন।”