করোনা ও আমফানের কারণে তৈরি হওয়া রাজ্যের সঙ্কটকালে বাংলার যুবদের একত্রিত করে মানুষের পাশে দাঁড় করানোর বৃহত্তম উদ্যোগ নিলেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় ও রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ১ লক্ষ ২৫ হাজার যুবক-যুবতীকে রাজ্যবাসীর সুখে-দুঃখে সামিল করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করছে ‘বাংলার যুবশক্তি’ নামে এক নজিরবিহীন প্রকল্প। রাজ্যবাসীকে নতুন দিশা দেখাবে অভিষেকের নেতৃত্বাধীন ‘বাংলার যুবশক্তি’।

প্রকল্পটি তৃণমূল কংগ্রেসের হলেও এটি অরাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই পরিচালিত হবে৷ এর সদস্যরা কাজ করবেন রাজ্যজুড়ে৷ যুব তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করে এ বিষয়ে বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘বাংলার যুবশক্তি’ আগামী ১১ জুন থেকে কাজ শুরু করছে এ রাজ্যে। আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যস্তর থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রকল্পের সদস্য সংখ্যা ১.২৫ লক্ষ করার টার্গেট করা হয়েছে৷ এই ১.২৫ লক্ষ সদস্যের প্রত্যেকে বাংলার ১০টি করে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন। এবং সেই সব পরিবারের যে কোনও সমস্যার সমাধানে মুশকিল আসানের ভূমিকা নেবে। ১১ জুলাইয়ের পর এই লক্ষাধিক সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হবে৷ আগামীদিনে সদস্যদের ভূমিকা কী হবে, তা আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে। ‘বাংলার যুবশক্তি’-র ১.২৫ লক্ষ যুবকর্মী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জনপরিষেবা পৌঁছে দেবে। খাদ্য-শিক্ষা-সহ যে কোনও ধরনের অসুবিধায় মানুষকে সাহায্য করবে অভিষেকের এই যুব বাহিনী। এই প্রকল্পের একটি লোগোও প্রকাশ করা হয়েছে।
‘বাংলার যুবশক্তি’-র নেটওয়ার্ক গোটা রাজ্যে নিখুঁতভাবে পৌঁছে দিতে একাধিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ১৮ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুক্ত করা হচ্ছে এই প্রকল্পে৷ পুরো রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। জোন পিছু দায়িত্বে থাকছেন দু’জন। ১০ জন থাকবেন কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্বে৷ থাকছে প্রায় ৯০- ৯৫ জন স্টেট-কোঅর্ডিনেটর।
জেলা কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য থাকবেন ১০ থেকে ১৫ জন। এক-একজন ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্যকে দুটি বা তিনটি ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ এরা প্রতি ব্লক ও শহরে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের অরাজনৈতিক, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এবং সমাজসেবায় আগ্রহী আছে, এমন ৫ জন করে যুবকে চিহ্নিত করবেন৷ তাঁদের নাম পাঠিয়ে দেবেন রাজ্যস্তরে৷ ব্লকস্তরে যে সমস্ত যুবক-যুবতী কাজ করবেন, তাঁদের বলা হবে ‘যুবযোদ্ধা’।এক- একজন যুবযোদ্ধা ১০টি করে পরিবারের দায়িত্ব নেবেন। এদের সবার ওপর নজর রাখবে প্রশান্ত কিশোরের টিম। যারা যোগদান করবেন তাঁদের প্রকল্পের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভূক্ত করা হবে৷ তখনই এদের একটি করে রেফারেল লিঙ্ক দেওয়া হবে। ১১ জুলাইয়ে পর এদের নিয়েই একটি ভার্চুয়াল সভা হবে। বিন্দুতে সিন্ধু হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযে তরফে।