নতুন সূর্য এবং পৃথিবীর সন্ধান! প্রাণের হদিশ নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীর পাশে রয়েছে আরেক পৃথিবী। একই রকম দেখতে। আবার আরও এক সূর্যের চারপাশে একইভাবে ঘুরছে। নতুন গ্রহ এবং নক্ষত্রের খোঁজ পেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতে পৃথিবীর মতো দেখতে গ্রহ এবং সূর্যের মতো নক্ষত্র রয়েছে। পৃথিবী থেকে মাত্র তিন হাজার আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে আরেক পৃথিবী।

নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ জানিয়েছিল, গোটা নক্ষত্রপুঞ্জে সূর্যের মতো প্রতি পাঁচটা তারার অন্তত একটির চারপাশে ঘুরছে একটা করে পৃথিবীর মতো গ্রহ। এই তথ্যের প্রমাণ দিয়েছে গটিনজেনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ। তারার নাম কেপলার-১৬০। তাকে প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবীর মতো দেখতে কেওআই-৪৫৬.০৪।
এই গ্রহের আকার থেকে আবহাওয়া, অনেক কিছুই মিলে রয়েছে পৃথিবীর সঙ্গে। বেশ কিছু গ্রহে নাকি বেশি শীতও পড়ে না, আবার তাপমাত্রার পারদও চড়ে না। বিজ্ঞানীদের মতে, যা প্রাণ তৈরি হওয়ার আদর্শ পরিবেশ।

কেপলার-১৬০ নক্ষত্র সূর্যের মতো ইনফ্রারেড রশ্মির বিকিরণ করে। এই তারার পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা ৫২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সূর্যের চেয়ে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। ফলে তেজও অনেকটা কম। নিভু নিভু আঁচের এই তারা। মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম লাল বামন।পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, ৫০ শতাংশ লাল বামনের চারপাশেই রয়েছে এমন গ্রহ।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর মতো গ্রহের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। পাঁচশোরও বেশি গ্রহ, বামন গ্রহ ও উপগ্রহের সন্ধান মিলেছে। পৃথিবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মিল পাওয়া যায়। চলতি বছর নাসার ‘ট্রানসিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’ খুঁজে পেয়েছে পৃথিবীর মতো দেখতে  একটি নীলাভ গ্রহ। পৃথিবীর এই যমজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই ৭০০ ডি। একইভাবে পৃথিবীর মতো দেখতে কেপলার ৭৮বি নামক এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

Previous articleতৃণমূল ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না শুভেন্দু, পাশে অভিষেকও
Next articleটলিউড সামলাতে ব্যর্থ, এ কোন অপদার্থরা ডোবাচ্ছে মমতাকে?