গড়িয়া শ্মশানে বেওয়ারিশ মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এবার আসরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গড়িয়া আদি শ্মশানে সকালে 13টি বেওয়ারিশ দেহ দাহ করতে নিয়ে যায় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ও ডিওয়াইএফআই কর্মীদের বাধায় সেগুলি আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন পুর কর্মীরা। দেহগুলি শ্মশান থেকে গাড়িতে তোলার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, বিবস্ত্র মৃতদেহগুলি আঁকশি দিয়ে টেনে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। সেই ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।

Anguished at disposal of dead bodies @MamataOfficial -with heartless indescribable insensitivity. Not sharing videos due to sensitivity.
Have sought an URGENT UPDATE @HomeSecretaryWB
In our society dead body is accorded highest respect-rituals r performed as per tradition(1/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 11, 2020
নিজের টুইটার হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “অত্যন্ত হৃদয়বিদারক, অসংবেদনশীল ভাবে দেহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়”। এ বিষয়ে তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে দ্রুত আপডেট জানতে চান।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে মৃতদেহকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়াই রীতি”। সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে চান ধনকড়।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করে তিনি জানতে চেয়েছেন,

1. এই দেহগুলি যাঁদের, তাঁরা কবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন?

2. তাঁদের কী চিকিৎসা হয়েছিল?

3. তাঁরা কোন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন?

4. তাঁদের মৃত্যুর কারণ কী?
5. তাদের বেড হেড টিকিট কোথায়?

রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একটি মানব শরীরকে এইভাবে আঁকশি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়? “এটা মানবতার লজ্জা” বলে মন্তব্য করেন ধনকড়। আইন ও রীতি মেনে সৎকারের কথা বলেন তিনি।
তবে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের মর্গে থাকা এই দেহগুলি করোনায় মৃতদের নয়- সে বিষয়ে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
