করোনা’কে সামনে এনে পাকিস্তানে ফিরছে সামরিক শাসন ? জল্পনা তুঙ্গে

ভারতের কপালে নতুন ভাঁজ দেখা দিতে পারে৷
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, করোনা’র তাণ্ডবকে সামনে এনে পাকিস্তানে সম্ভবত ফিরতে চলেছে সেনা-শাসন৷

বছর দুয়েক আগে ‘নতুন পাকিস্তান’ গঠনের স্বপ্ন দেখিয়ে ওদেশে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এবং শপথ নেওয়ার পর ইমরান খান
বারবার বলেছিলেন, আর্থিক দুর্বলতা কেটে যাবে এবং সেনার প্রভাবমুক্ত এক নতুন দেশ হবে পাকিস্তান৷ কিছুই হয়নি, উল্টে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান সেনাকর্তাদের বসিয়ে একটু একটু করে দেশের নিয়ন্ত্রণ ফের নিজেদের হাতে নিচ্ছে পাক সেনাবাহিনী। পাক প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারনে জাতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থা, শক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-সহ একাধিক সরকারি ক্ষেত্রের শীর্ষপদে এ পর্যন্ত ১২ জনেরও বেশি প্রাক্তন ও বর্তমান সেনাসদস্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে তিন জনকে নিয়োগ হয়েছে কিছুদিন আগে৷
দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ ইমরান খানের জনপ্রিয়তায় ধাক্কা লাগতে শুরু করে বেশ কিছুদিন আগেই৷ তার সঙ্গেই জুড়ে যায় করোনার তাণ্ডব। সেই সুযোগ নিয়েই দেশ পরিচালনার কাজে ঢুকতে শুরু করে পাক সেনা। ইদানিং করোনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকেও থাকছেন সেনা অফিসারের দল। প্রশাসনের প্রায় সব বিষয়েই এখন মাথা গলিয়ে দিয়েছে পাক সেনাকর্তারা৷ এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘কমিউনিকেশন অ্যাডভাইসর’ পদের দায়িত্ব নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম সেলিম বাজওয়া। ইঙ্গিতটি খুবই স্পষ্ট। তবে সেনার তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা ভেসে উঠেছে৷ গত বছর এক আন্তর্জাতিক খনি সংস্থাকে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিলো পাকিস্তানকে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য কমিশন তৈরি করতে ইচ্ছুক ছিলেন ইমরান খান। কিন্তু সেই কমিশনে একজনও যোগ দিতে চাননি। কারণ সকলেই জানতেন পাক সেনার জন্যই ওই বিপুল অঙ্কের ভার চেপেছিল দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির উপর।

ইঙ্গিতটা তখনই স্পষ্ট হয়৷ সেনা’রা অপেক্ষা করছিলো সুযোগের। করোনাভাইরাস সে পথই প্রশস্ত করে দিয়েছে।

Previous articleশ্রমজীবী কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের
Next articleপ্লাস্টিক ছেড়ে চটের ব্যবহার বাড়িয়ে বাংলার চটশিল্পকে ফিরিয়ে আনুন, আহ্বান মোদির