ধীরে ধীরে খুলছে দিঘা, মন্দারমনি, মাইথন, ৩ মাসে পর্যটনে প্রায় ৪০% কর্মহীন!

দিঘা, মন্দারমনি, টাকি, মাইথন একে একে খুলে যাচ্ছে। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রে যাবে কে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে ৪০% ট্যুর অপারেটর সংস্থা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। পর্যটন শিল্পে যারা কাজ করতেন, তাঁরা বলছেন, বিগত ৩মাস ধরে অধিকাংশ কর্মী বেতন পাননি। বহু জায়গায় কর্মীদের বেতন ৩০%-৫০% কেটে নেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলছেন সংসার চলবে কী করে? হোটেল মালিকরা বলছেন, ৮জুন থেকে হোটেল খুলেছে। টুকটাক করে ভ্রমণ পিপাসুরা আসছেন। কিন্তু এটা তো নামকে ওয়াস্তে ব্যবসা খুলে রাখা। ব্যাঙ্কে পয়সা ঢুকবে কী করে? এই পরিস্থিতি আর ২-৩ মাস চললে হোটেল বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকবে না। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পর্যটনেও সেই পরিস্থিতি। গোটা দার্জিলিঙ বা জিটিএ-র মূল ভরসা পর্যটক। মানুষ কিন্তু এখনও ভরসা করেছেন না। জিটিএর সদস্য বিক্রম রাই বলেন, মানুষকে ভরসা না দিতে পারলে উত্তরবঙ্গের পর্যটনে দুর্দিন আসবে। হোটল-রিসর্ট খুলে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। পর্যটনমন্ত্রীর উচিত মানুষকে মোটিভেট করতে পরিকল্পনা নেওয়া।

পর্যটনে বাধা নিষেধের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তা অনেকটা এইরকম…

১. হোটেলে ৩০% কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে

২. আপাতত ৩০% -এর বেশি হোটেল রুম ব্যবহার করা যাবে না

৩. হোটেলের রুম কেউ বুকিং করলে সে ছেড়ে দেওয়ার পর অন্য কেউ এই ঘর বুক করতে পারবেন না। ডিসইনফেক্ট করার পর ফের ব্যবহার।

৪. অধিকাংশ হোটেলর কিচেনে রান্না বন্ধ। মানুষ পর্যটন কেন্দ্রে আসার পর দাবি জানালে তখন বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে।

৫. হোটেলে ঢোকা বা বেরনোর সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, হোটেলের রুম স্যানিটাইজ করা এবং কর্মী ও গেস্টদের নিরাপদ দূরত্ব মানতেই হবে।

Previous articleপরিযায়ীদের নিয়ে কণ্ঠ ছাড়লেন তাপসী পান্নু
Next articleভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মার্কিন কূটনীতিকের