‘আক্রান্তদের সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে’, সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা কেজরি সরকারকে

‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে ‘পশুর থেকেও খারাপ’ আচরণ করা হচ্ছে৷’ শুক্রবার দিল্লি সরকারকে এই ভাষাতেই

বিঁধেছে সুপ্রিম কোর্ট।

দেশের রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে এদিন সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করছে দেশের শীর্ষ আদালত। করোনা টেস্টের হার কেন কমে গিয়েছে, তা নিয়েও দিল্লি সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত৷ আপ সরকার এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের নির্দেশ ঠিকভাবে অনুসরণ না করার বিষয়টি তুলে ধরেও তীব্র সমালোচনা করেছেন বিচারপতিরা৷

করোনা আক্রান্তের বিচারে দেশে এখন তৃতীয় স্থানে দিল্লি৷ রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত ৩৪,৬৮৭ জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে এবং ১,০৮৫ জন মারা গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে৷ এদিন এ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছে কেজরি সরকারকে৷ বিচারপতিরা কেজরি সরকারকে তুলোধোনা করে বলেছেন,
হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক বেড থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হওয়ার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীদের ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে যে, দিল্লির সরকারি হাসপাতালের বারান্দা এবং প্রতীক্ষালয়ের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অথচ ওয়ার্ডের ভিতরে বেশিরভাগ বেডই ফাঁকা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কড়া সুরে বলেছে :

◾কোভিড-১৯ রোগীদের সঙ্গে পশুর থেকেও খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।

◾এক করোনা রোগীর দেহ আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।

◾একের পর এক করোনা রোগী মারা যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের তরফে কাউকেই মৃতের পরিবারের সামান্যতম সাহায্য করার জন্য মিলছে না৷

◾দিল্লিতে করোনা টেস্ট কেন এত কম হচ্ছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের জবাবও তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷

◾সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন করেছে, যখন চেন্নাই এবং মুম্বই-এ করোনা টেস্টের সংখ্যা দৈনিক ১৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার করা হচ্ছে, তখন দিল্লিতে এই পরীক্ষা দিনে ৭ হাজার থেকে ৫ হাজার এ নেমেছে কেন ?

বিচারপতিরা বলেছেন, “দিল্লির পরিস্থিতি শোচনীয়, ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগের। সেখানকার হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিও অত্যন্ত খারাপ, এমনকী মৃতদেহগুলোকেও ঠিকভাবে রাখা হচ্ছে না। রোগীদের পরিবারকেও মৃত্যুর খবর ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো পরিবারও শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেনি”।

Previous articleগড়িয়া শ্মশানের মরদেহবিতর্ক নিয়ে দু’চার কথা
Next article১১ থেকে ৫০! NIRF র‌্যাঙ্কিং-এ পিছিয়ে গেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়