অনন্য নজির: “আর অর্থ সাহায্য পাঠাবেন না”, বলল মনসাদ্বীপের রামকৃষ্ণ মিশন

আমফান বিধ্বস্ত বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চল। ত্রাণের জন্য হাহাকার। এই পরিস্থিতিতেও নজির গড়ল রামকৃষ্ণ মিশন। পর্যাপ্ত ত্রাণ পাওয়ার পরে তারা জানিয়ে দিল, “আমাদের আর অর্থ সাহায্য পাঠাবেন না। প্রয়োজনে রামকৃষ্ণ মিশনের সদর কার্যালয়, বেলুড়মঠে সাহায্য পাঠাতে পারেন”। শুধু প্রয়োজনটুকুই যথেষ্ট, অতিরিক্ত আড়ম্ভর নয়- এই পথই দেখিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ। আজও রামকৃষ্ণ মিশন যে সেই পথেই চলছে, তার একটি নজির পাওয়া গেল তাদের দেওয়া এই নোটিশে।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয় সাগরদ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেখানে মনসাদ্বীপে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই কারণে প্রাথমিক ত্রাণের পরে বাড়ির ছাদ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন তারা। 199 টি বাড়ির ছাদ মেরামত এবং ভেঙে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে ঠিক করেছেন রামকৃষ্ণ মিশনের মনসাদ্বীপের মঠের মহারাজারা। তাঁদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন মানুষ নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন আশ্রম এবং সংলগ্ন এলাকার পুনর্নির্মাণে। যে পরিমাণ অর্থ সাহায্য মনসাদ্বীপের আশ্রম কর্তৃপক্ষ পেয়েছে সেটা যথেষ্ট বলে মনে করছে তারা। সেই কারণে সবার কাছে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন জানিয়েছে, আর ত্রাণ পাঠানোর প্রয়োজন নেই। যদি কেউ অর্থ সাহায্য করতেই চান তবে সেটা রামকৃষ্ণ মিশনের সদর কার্যালয় বেলুড়মঠে পাঠান।
যেখানে ত্রাণ নিয়ে কারচুপি চলছে, অভিযোগ উঠছে চাল চুরির, প্রান্তিক মানুষেরা ত্রাণ পাননি বলে হাহাকার করছেন- সেখানে পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়ার পরে আর প্রয়োজন নেই বলে দেওয়ার ক্ষমতা বোধহয় রামকৃষ্ণ পরমহংসের অনুপ্রেরণায়, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে চলা মঠ ও মিশনেরই আছে।

Previous articleফের দেশে একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণের রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১ হাজার!
Next articleবিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত দেবগৌড়া,খাড়গে-সহ ৫