ভারতে করোনার ‘পিক- টাইম’ নভেম্বরের মাঝামাঝি, বলছে ICMR-এর গবেষণা

ভয়ঙ্করভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ICMR-এর এক গবেষণা রিপোর্ট !

দেশে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ সময় বা ‘পিক-টাইম’ অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে৷ ফলে ভারতে করোনা’র সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা দিতে পারে চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি। আর তখনই হাসপাতালে বেড বা ভেন্টিলেটরের তীব্র অভাব দেখা দিতে পারে৷ যথাযথ চিকিৎসা তখন সম্ভব নাও হতে পারে৷

ICMR-এর অপারেশন্স রিসার্চ গ্রুপ এমনই উদ্বেগজনক খবর শুনিয়েছে দেশবাসীকে৷

রিসার্চ গ্রুপ বলছে, লকডাউনের কারণে সংক্রমণের পরিমাণ কমেছে ঠিকই, কিন্তু আন-লকিংয়ের কারনে সংক্রমণ ধীরগতিতে বাড়ছে৷ তাই করোনা’র ‘‌পিক টাইম’‌ বা সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময় পিছিয়েছে। আর সেই সর্বোচ্চ ভয়াবহ সংক্রমণ দেখা দিতে পারে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। সে সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই হতে পারে যে, হাসপাতালে বেড বা ভেন্টিলেটরের তীব্র অভাবও দেখা দিতে পারে৷
রিসার্চ গ্রুপের গবেষণায় দেখনো হয়েছে, করোনা পিক টাইম ৩৪ থেকে ৭৬ দিন পিছিয়ে গিয়েছে। লকডাউনের ফলে সংক্রমণের পরিমাণ কমেছে ৬৯ থেকে ৯৭ শতাংশ। সেই সময়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করে নিতে পেরেছে প্রশাসন। কিন্তু এই আয়োজনে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যথেষ্ট চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তারপর থেকে আইসোলেশন বেডের সমস্যা দেখা দিতে পারে ৫-৬ মাসের জন্য, আইসিইউ বেডের সমস্যা দেখা দিতে পারে ৪-৬ মাসের জন্য, আর ভেন্টিলেটরের সমস্যা দেখা দিতে পারে ৯ মাসের জন্য।
রিসার্চ গ্রুপ বলছে, লকডাউন না হলে এই সংকটের পরিমাণ আরও ৮৩ শতাংশ বেশি হতো৷ গবেষকরা বলছেন, লকডাউন না থাকলে পিক টাইমে সংক্রমণের পরিমাণ বাড়তে পারত আরও ৭০ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে, করোনা মোকাবিলার পরিকাঠামোর উন্নতিতে নিয়মিত রিভিউ মিটিং ও নীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্যও GDP-র ৬.‌২ শতাংশ খরচ করাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

Previous articleভারতে করোনা: মৃত‍্যু ৯৫২০, তবে সুস্থ হওয়ার হারও ৫১ শতাংশ ছাড়াল
Next articleপাটনা থেকে মুম্বই পৌঁছচ্ছেন সুশান্তের বাবা, আজই শেষকৃত্য