অনলাইনে পরীক্ষা দিতে নারাজ পড়ুয়াদের একাংশ। রীতিমত বিরোধিতা করছে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিটি এবং আইসা। তাদের বক্তব্য, অনলাইনে ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যা আছে। অনেক ক্ষেত্রেই সাইটেও সমস্যা দেখা দেয়। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা কার্যত অসম্ভব বলে বক্তব্য পড়ুয়াদের একাংশের।

দুই ছাত্র সংগঠনের কথায়, জুন মাসে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। সরকার তা মেনে নিয়েছে। তবে এর বিকল্প কখনই অনলাইন নয়। তাদের বক্তব্য, দেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষের কাছে এখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফলে বহু ছাত্রছাত্রী আছে যারা এই অনলাইন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হবেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার উপাচার্য এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া। বৈঠকে উপাচার্যরা প্রস্তাব দেন, ৫০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে অ্যাসাইনমেন্ট বা অনলাইনে পরীক্ষা হোক। বাকি ৫০ শতাংশ শেষ পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হোক। তবে এই প্রস্তাবে এখনও সীলমোহর পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে প্রস্তাব।
