জ্বর হলেই সামাজিক বয়কট! ব্যথিত অশোক ভট্টাচার্য

সম্প্রতি জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন শিলিগুড়ি শহরের প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। বেশ কয়েকদিন বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করান তিনি। চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। তিনি জানিয়ে ছিলেন, অশোক ভট্টাচার্যর মধ্যে করোনার উপসর্গ নেই। তবুও তাঁর পরামর্শেই শনিবার লালা পরীক্ষা করান শহরের প্রশাসক তথা বিধায়ক। রবিবার তাঁর পরীক্ষার ফল আসে নেগেটিভ। স্বভাবতই তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।একইসঙ্গে সঙ্গেই নিজের অভিমান তথা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক। তিনি জানান, জ্বর হলেই আজকাল লোকে অন্যভাবে ভাবে দেখছে। যাঁরা এক সময় জনপ্রতিনিধি এবং জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দু’বেলা তাঁর খোঁজ নিতেন, জ্বর হয়েছে শুনে তাঁরা বাড়ির ত্রিসীমানায় আসেননি। এমনকী ফোন করেও খোঁজ নেননি অনেকে। অশোক ভট্টাচার্য বলেন, জ্বর মানেই করোনা নয়। কিন্তু জ্বর হয়েছে শুনে রোগীর সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার সমাজ করছে সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এ প্রসঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, করোনা সম্পর্কে লোকের মনে একটা আতঙ্ক ঢুকে গিয়েছে। তার ফলেই এই পরিস্থিতি। অযথা ভয় না পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী।

সোমবার, থেকেই ফের পুরসভায় গিয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন অশোক ভট্টাচার্য। এদিকে, পুরনিগমের অনেক কর্মীই জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। তাঁদের আপাতত বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি, পুরনিগম স্যানিটাইজ করার জন্য কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসক।

Previous articleপাটনা থেকে মুম্বই পৌঁছচ্ছেন সুশান্তের বাবা, আজই শেষকৃত্য
Next articleনভেম্বরে ছিল বিয়ের কথা, কিন্তু কার সঙ্গে?