সামনের সপ্তাহেই নাকি পৃথিবীর শেষের শুরু! কী বলছে মায়া ক্যালেন্ডারের পরিবর্তিত গণনা?

ওটা ২০১২ সালে ২১ ডিসেম্বর নয়। ওটা হবে এবছর, মানে ২০২০। অন্তত ঐতিহ্যবাহী মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার নাকি তাই বলছে। এই ক্যালেন্ডারের গণনা বলছে, আগামী সপ্তাহেই নাকি ধ্বংস হবে পৃথিবী!

এই প্রসঙ্গেই উঠে আসছে বছর অাটেকের একটি দিনকে নিয়ে মারাত্মক হইচই। দিনটা ছিল ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। দুনিয়াজুড়ে জল্পনা শুরু হয়, এই দিনেই নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী! নেহাতই গুজব নয়, বাস্তবেও তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। চলে নানা হিসেবনিকেশ। একটি নির্দিষ্ট হিসেবের ভিত্তিতেই নাকি পৃথিবী ধ্বংসের ওইদিনের কথা বলা হয়েছিল। পরে দেখা যায় বিশেষজ্ঞদের হিসেবে বড় গলদ ছিল। আর সেই ভুল যখন ধরা পড়ল, তখন আবিষ্কার হল আরেক মারাত্মক কাণ্ড। ওইসময় যে বিপদের আশঙ্কা ছিল, তা নাকি আদতে হওয়ার কথা এই বছরেই। তাও আবার নাকি আগামী সপ্তাহেই!

অন্তত মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার এমনই ভবিষ্যতবাণী করছে। ইতিহাসবিদদের কথায়, মায়া ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছে আজ থেকে ৫ হাজার ১২৫ বছর আগে। আগের হিসেব অনুযায়ী, এই ক্যালেন্ডার শেষ হয় ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। তাই দেখেই ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’রা বলছিলেন, ওইদিনই পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে। মায়া ক্যালেন্ডার ফুরিয়ে যাওয়ার অর্থ ধ্বংসেরই ইঙ্গিতবাহী। কিন্তু সেদিন কিছুই না হওয়ায় সবাই বলেছিল পুরোটাই গুজব। যদিও বলা হয়, মধ্য আমেরিকার প্রাচীন মায়া সভ্যতা যে ক্যালেন্ডারটি ব্যবহার করতো, সেখানে উল্লিখিত ভবিষ্যদ্বাণী নাকি বিশ্বের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে হুবহু মিলিয়ে দিয়েছিল। মধ্য আমেরিকার মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত প্রাচীন মায়া সভ্যতা ইতিহাসে অত্যন্ত উন্নত সভ্যতা হিসেবে আলোচিত যারা গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, স্থাপত্যবিদ্যার মত বিভিন্ন বিষয়ে তাদের উন্নত ভাবনা, দিকনির্দেশ ও জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখে গেছে। এই সভ্যতা অতি বিস্ময়কর প্রক্রিয়ায় দিন-তারিখের হিসেব লিপিবদ্ধ করত। তাদের ক্যালেন্ডার এখনকার ক্যালেন্ডার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে অক্ষর এবং সংখ্যার পরিবর্তে বিশেষ অর্থপূর্ণ চিত্রের সমাহার ছিল, গবেষকরা যেগুলির মর্মোদ্ধার করতে পেরেছেন বলে দাবি করা হয়। অনুমান, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে মায়া ক্যালেন্ডার প্রচলিত ছিল। বলা হচ্ছে, সেখানে ৮ বছরের হিসেবে গরমিল ছিল। সেই আট বছরের হিসেব ধরলে এবছরই সেই সময়। ২০১২ সালের ঠিক আট বছর পরে ২০২০ সাল। আর এই বছরই তাই পৃথিবী ধ্বংসের সম্ভাবনার কথা গবেষকরা বলছেন। অনেকের মতে, এই তত্ত্ব একেবারে নস্যাৎ করার মত নয়। কারণ ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে যে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট তৈরি হয়েছে তা গভীর বিপর্যয়েরই ইঙ্গিতবাহী।

Previous articleজাতীয় কমিটির নির্দেশে ঢাকার ৪৫ এলাকা রেড জোনে!
Next articleসুশান্তের মৃত্যু নিয়ে লাইভ শেখর কাপুর, মনোজ বাজপেয়ীর