আর্থিক অনটনে সংসার চলছে না, এবার দাবি নিয়ে পথে নামলেন পানশালা কর্মীরা

করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ ছিল। গত ১ জুন থেকে কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া দেশের প্রায় সর্বত্রই আনলক ফেজ ওয়ানের মধ্য দিয়ে সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও সমস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ ধীরে ধীরে খুলছে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে।

কিন্তু এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে পানশালা বা বারগুলি। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে সমস্ত বারকর্মী। যার মধ্যে একটা বড় অংশ রয়েছেন বার সিঙ্গার-সহ মিউজিশিয়ান। সমস্যায় পড়েছেন ওয়েটাররাও। এঁরা খুব বেশি বেতন কোনওদিনই পেতেন না। তবে গ্রাহকদের টিপসে পুষিয়ে যেতো।

খুব স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় এই সকল বারকর্মীরা অর্থসঙ্কটে ভুগছেন। পেটের টানে বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা দরবার করেছেন, যাতে অবিলম্বে বার খুলে দেওয়া যায় যথাযথ বিধি মেনে। যাতে তাঁরা ফের কাজে ফিরতে পারেন। জীবনযাপনের জন্য নূন্যতম উপার্জনটুকু করতে পারেন।

কিন্তু এখনও তাঁরা উপেক্ষিত বলেই মনে করছেন বারকর্মীরা। খোলেনি বার। মেটেনি সমস্যা। একটা বড় অংশের মানুষ এই সমস্ত বার বা পানশালাগুলিতে কাজ করেন। সবমিলিয়ে অর্থাভাবে সংসার চালানোই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের সামনে।

কোনও উপায় না দেখে নিজেদের রুজি-রুটির তাগিদে এবার তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হলেন। আজ, মঙ্গলবার তাই বাধ্য হয়েই মধ্য কলকাতার একটি বারের সামনে পোস্টার হাতে জমায়েত হলেন বেশ কিছু পানশালা কর্মী। তাঁদেরবদাবি, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাঁদের দুর্দশার কথা শুনতে হবে, বুঝতে হবে রাজ্য সরকারকে। যাতে দ্রুত বার খোলা যায়, যাতে করে তাঁরা নিজেদের কাজে ফিরতে পারেন, যাতে করে তাঁদের সংসারটা বাঁচে সেই দিকগুলি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পানশালা কর্মীরা।

Previous articleবাংলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০ ছুঁইছুঁই!
Next articleএকনজরে বাংলার করোনা আপডেট