ফের কেন্দ্রের বঞ্চনা, পরিযায়ী পুনর্বাসনে ১১৬ জেলা চিহ্নিত, নেই বাংলা

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা’ থেকেও এবার বঞ্চিত করা হলো বাংলাকে।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, দেশের ৬ টি রাজ্যের ১১৬টি জেলা ‘গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা’-য় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ এই ১১৬টি জেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকার পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
৬ রাজ্যের তালিকায় ঠাঁই হয়নি বাংলার৷ আজ, শুক্রবার বিহারের খাগাড়িয়া জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ডের ১১৬টি জেলায় আগামী ১২৫ দিন ধরে এই আর্থিক প্যাকেজ- প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের এই প্রকল্পে বিহারের ৩২, উত্তরপ্রদেশের ৩১, মধ্যপ্রদেশের ২৩, রাজস্থানের ২২, ওড়িশার ৪ এবং ঝাড়খণ্ডের ৪টি জেলাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১১৬ জেলায় ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন, তেমন ২৫ হাজার শ্রমিককে তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে আগামী ১২৫ দিনের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে৷ ভিনরাজ্যের কর্মস্থল থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে আসা শ্রমিকদের জীবিকার বিকল্প সন্ধান দিতেই এই প্রকল্প।

পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলাও এই তালিকায় স্থান পায়নি৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা এই বঞ্চনার কোনও নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি। বলেছেন, ওই ৬ রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। কেন্দ্রের সাফাই, একটি জেলায় ২৫ হাজার শ্রমিক ফিরে আসার যে শর্ত রাখা হয়েছে, সেই শর্ত পশ্চিমবঙ্গের তালিকায় পূরণ হয়নি। তবে নতুন কোনও জেলা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতেই পারে।
যে কাজগুলিকে এই প্রকল্পে আওতায় আনা হয়েছে, সেগুলি হলো, জাতীয় সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, কুয়ো খনন, বনসৃজন, রেলওয়ে প্রকল্প, কমিউনিটি শৌচালয় নির্মাণ, হর্টিকালচার, কৃষি- পুষ্করিনী, গবাদি পশুর আবাস নির্মাণ ইত্যাদি।

Previous articleভারভারা, সুধাকর সহ ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দিন : শঙ্খ, অপর্ণা, ধৃতিমান সহ ৩৭৫ জনের চিঠি
Next articleবর্ষা কেমন উপভোগ করেন বিরাট? পোস্ট করলেন ছবি