ভারভারা, সুধাকর সহ ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দিন : শঙ্খ, অপর্ণা, ধৃতিমান সহ ৩৭৫ জনের চিঠি

ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ সহ ১১জন জেলবন্দির মুক্তির দাবিতে সরব হলেন বিশিষ্টজনেরা। খোলা চিঠি দিলেন কেন্দ্রকে চিঠিতে হুঁশিয়ারি করোনা মহামারির সময় বিশিষ্টজনদের মুম্বই জেলে আটকে রাখা হয়েছে। বিশিষ্টরা সংক্রমিত হয়ে অসুস্থ হলে তার জন্য দায়ী থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার।

ইন্ডিয়ান কালচারাল ফোরামের ব্যানারে অমল পালেকার, অপর্ণা সেন, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, শাবান আজমি, শঙ্খ ঘোষ-সহ দেশের প্রায় ৩৭৫ জন বিশিষ্টজন কেন্দ্রের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন। তাদের বক্তব্য এই বিশিষ্ট জনের কেউই দাগি আসামি নন। তাদের এই মহামারির সময়ে মুক্তি দিলে নিশ্চিতভাবে তাঁরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে যাবেন না। দেশজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির আকার নিয়েছে। এই সময় জেলে বিশিষ্টজনদের বিশেষত বয়স্কদের জীবন বিপন্ন। এখনই মুক্তি দেওয়া হোক এই ১১ জনকে।

অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এরা প্রবীণ। অতিমারীর সময়ে এনাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এদের জামিনে মুক্তি চাইছি। অপর্ণা সেন বলেছেন, করোনার এই হামলার মাঝে মানবিক কারণেই এঁদের জামিনে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। তাঁদের সুরে সুর মিলিয়েছেন কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টচার্যরা। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদ এর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, ভার্নন গঞ্জালভেস, অরুণ ফেরেরা, গৌতম নওলাখা, সোমা সেন, আনন্দ তেলতুম্বে, সুরেন্দ্র গ্যাডগিল, মহেশ রাউথ, সুধীর শাওয়ারে, রোনা উইলসনকে।

চিঠিতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়া সফুরা জারগরের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে তাঁর ও তার গর্ভের সন্তানের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। একইভাবে জামিয়ার পড়ুয়াদেরও ফৌজদারি মামলা দায়ের করে আটক করা হয়েছে।

Previous articleদুপুরের পরে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছাবে শহিদ বিপুলের মরদেহ, চোখের জল বাঁধ মানছে না গ্রামবাসীদের
Next articleফের কেন্দ্রের বঞ্চনা, পরিযায়ী পুনর্বাসনে ১১৬ জেলা চিহ্নিত, নেই বাংলা