Friday, November 14, 2025

শ্রীকৃষ্ণকে টেনে এনে নোংরা রাজনীতি করছেন অপদার্থ দিলীপ ঘোষ! কড়া নিন্দা সুজনের

Date:

“বদলা-বদল” তত্ত্বে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শ্রীকৃষ্ণের যুদ্ধ এবং তার সঙ্গে হিংসার রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলে যে মন্তব্য করেছেন, এবার সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সরব হলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন সুজন চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ যদি শ্রীকৃষ্ণকে টেনে এনে নোংরা রাজনীতি এবং নিজের অপদার্থতাকে ঢাকবার চেষ্টা করেন, তাহলে এর চাইতে লজ্জাজনক কিছু হয় না। এতটা নিজেকে নিয়ে ভাবাটা মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ।”

তিনি আরও বলেন, এর আগে একটি দল পশ্চিমবাংলায় বদলা চাই না বদল চাই বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তারা বদলার রাজনীতি করেছে। এখনও করছে। বদলার সেই বাহিনী আগে ছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এখন সেই বাহিনী দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। যারা বদলা নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখন দিলীপ ঘোষ বদলার কথা বলছেন।

সুজন চক্রবর্তী মনে করেন, বদলা বদল নয়, মানুষের ভরসাই সবচেয়ে বড় জিনিস। এবং তৃণমূল-বিজেপিরা নয়, বামপন্থীরাই মানুষের ভরসা নিয়ে চলবে। তাঁর দাবি, সমাজ-বিজ্ঞান-যুক্তি’ এগুলো তৃণমূল-বিজেপির কাছ থেকে আশা করা যায় না।

এ ব্যাপারে বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রের ও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুজন। তিনি বলেন, সারা পশ্চিমবাংলায় হিংসার রাজত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল ও সারা ত্রিপুরাতে হিংসার রাজত্ব তৈরি করেছে বিজেপি। যে পথে তৃণমূল, সেই একই পথে বিজেপি। আবার যে পথে বিজেপি, সেই একই পথে তৃণমূল। আর ভিন্ন পথে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বামপন্থা।

চিনা দ্রব্য বয়কটের জন্য দিকে দিকে সংঘটিত বিক্ষোভের প্রসঙ্গে এদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির নেতারা চিনা দ্রব্য বয়কট বলে বাজার গরম করছে। কে, কার ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবে তালিকা করছে। আমি বলছি, অযথা এই কাজের মধ্যে যাচ্ছেন কেন, যদি চিনা দ্রব্য থাকলে ঠ্যাং ভাঙতে হয় তাহলে বিজেপির সব নেতার ঠ্যাং নিজেদেরই ভাঙতে হবে। এমনকি, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের যে মূর্তি সেটাও চিনা কোম্পানির তৈরি। হিম্মত আছে তো সেটা ভাঙার?”

এরপরই সুজন বলেন, বাংলা বা ভারতবর্ষের মানুষ চিন দেশে গিয়ে চিনের জিনিস কিনে আনছে না। চিন দেশের জিনিস ভারতে আসছে। তবেই মানুষ কিনছে। আর এই আসা বা না আসাটা নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর।

পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, চিন ও আমেরিকার দ্রব্যে দেশীয় শিল্পের বারোটা বেজে গেছে। তাই কাস্টমস ডিউটি ২০০% চিন ও আমেরিকার দ্রব্যের ওপর বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বা অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের।

সুজন বলেন, বিজেপির যে নেতারা রাস্তায় বলছেন বয়কট, সেটা রাস্তায় না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে হবে। যেন উনি বিদেশী দ্রব্য আনার ক্ষেত্রে আটক করেন ও কাস্টমস ডিউটি ২০০% চিন ও আমেরিকার দ্রব্যের ওপর বসান। এর ফলে দেশীয় শিল্প, দেশীয় বাজার বাঁচবে ও দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থান হবে।

Related articles

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...

সোনারপুরে শুরু হচ্ছে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে নিউমোনিয়া ও ফ্লু টিকাকরণ কর্মসূচি

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী...

প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

প্রকাশিত হল আগামী বছরের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি। কাউন্সিলের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি...
Exit mobile version