স্মৃতির অনুপস্থিতি বিজেপির দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সভার জৌলুষ কমিয়ে দিল

৯ জুন অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার পর আজ, বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযানের ছিল দ্বিতীয় দফার সভা। বিধানসভা ভোটের দামামা বাজালেন সব বক্তারাই।

২৪শের সভার তারকা হিসাবে স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে বিজেপি মহলে ব্যাপক প্রচার ছিল। মূলত মেদিনীপুর আর হুগলি ছিল টার্গেট অডিয়েন্স। কিন্তু সরকারি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় স্মৃতি ইরানি দলীয় এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের হয়ে হাল ধরেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়া দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তবে স্মৃতির অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে সভার আকর্ষণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।

আলুওয়ালিয়া সরকারের প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেন। উঠে আসে পরিযায়ী শ্রমিকের কথাও। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের দুর্নীতির দিকে আঙুল তোলেন, বলেন বেকারত্ব আর সন্ত্রাসের কথা। আর প্রধান বক্তা ভূপেন্দ্র যাদবের অভিযোগ ভোটে কারচুপি নিয়ে। তাঁর আশা একুশের ভোটেই মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেবেন। শ্রমিকদের নির্ধারিত মজুরি নিয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগ, উজ্জ্বলা প্রকল্প, রেশন নিয়ে কেন্দ্র কী কী করেছে তার তালিকা দেন। আর বিধানসভা দখলের জন্য আরও পরিশ্রম করার জন্য দলের কর্মীদের অনুরোধ করলেন। জন সম্পর্ক সভা পরিচালনা করেন সায়ন্তন বসু। ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা, সৌমিত্র খাঁ, অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ।

Previous articleস্বপ্নপূরণ! বাবা চা বিক্রেতা, আঁচল আজ বায়ুসেনার পাইলট
Next articleসুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর CBI তদন্তের দাবি রূপা গাঙ্গুলি-র