ফুলবাগান হত্যাকাণ্ড: সুপারি কিলারের আগে বিষ দিয়ে খুন করতে চেয়েছিলেন অমিত

সুপারি কিলারের খোঁজ করার আগে সাপের বিষ দিয়ে শিল্পী আগরওয়ালকে খুন করতে চেয়েছিলেন তাঁর স্বামী অমিত আগরওয়াল। এই নিয়ম ইন্টারনেটে লেখাপড়া করেন তিনি। তাঁর 70 পাতার সুইসাইড নোট ক্রমশ ভাবিয়ে তুলছে তদন্তকারীদের। সময় যত গড়াচ্ছে ততই মিলছে নানা তথ্য। বুধবার, অমিতের শ্বশুরবাড়ি রামকৃষ্ণ সমাধি রোডে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ছিলেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা ও ফুলবাগান থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

তদন্তে নেমে পুলিশ অমিত আগরওয়ালের মোবাইল ফোনের পিন ক্র্যাক করতে পারেন। চারটি শূন্য দিয়ে ফোন লক করে রাখতেন অমিত। সে ফোন খুলতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

একই সঙ্গে জানতে পেরেছেন, সোমবার বিকেল তিনটে 56 মিনিটে ছেলেকে নিয়ে এয়ারপোর্টে নামার পর থেকে আত্মহত্যার আগে পর্যন্ত তিনটি ই-মেল করেছিলেন তিনি। সেই ই-মেলগুলিতে বন্ধুদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে শিল্পীকে তিনি খুন করেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে পুত্রকে এতো ভালোবাসতেন অমিত, যাকে ছাড়া থাকার কথা তিনি ভাবতে পারতেন না। তাকে এভাবে একলা করে চলে গেলেন কেন?

অমিতের 70 পাতার সুইসাইড নোট নিয়ে মনোবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করতে চান তদন্তকারী অফিসাররা।

জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, সংসারে তিনি শেষ কথা বলবেন- এটাই চাইতেন অমিত। স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব ছিল না।

শুধু তাই নয়, তাদের দুজনের মধ্যে অশান্তির জন্য শ্বশুরবাড়িকে দায়ী করতে অমিত। তাঁর ধারণা ছিল, তারাই শিল্পীকে কুপরামর্শ দিচ্ছে।

তবে এখনও তদন্তকারীরা মনে করছেন, হয়তো এই পরিকল্পনার কথা আরও কাউকে জানিয়েছিলেন অমিত। সে ব্যক্তি কে? তার খোঁজে তদন্ত চলছে।

Previous article১ জুলাই থেকে পুরনো মেজাজে ফিরতে চলেছে পাহাড়
Next article ”মাফিয়ারা সঙ্গীতজগতের স্বঘোষিত ভগবান”, সোনুর সমর্থনে এবার আদনান, আলিশা