ফুলবাগান হত্যাকাণ্ড: সুপারি কিলার খুঁজেছিলেন অমিত, হিটলিস্টে ছিলেন শ্যালকও

স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় ক্রমশ মিলছে নয়া তথ্য। শুধু স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়ি নয়, অমিত আগরওয়ালের হিটলিস্টে ছিলেন তাঁর শ্যালকও। সেই কারণে শিল্পীর ভাই বিনীত ঢনঢনিয়াকে বারবার রামকৃষ্ণ সমাধি রোডে শ্বশুরের ফ্ল্যাটে আসার জন্য জোর করেন তিনি। কর্মসূত্রে বিনীত থাকেন গুরুগ্রামে। পুলিশের কাছে শিল্পীর ভাই অভিযোগ করেছেন, স্ত্রীর পরে অমিতের টার্গেট ছিলেন তাঁর মা-বাবা ও তিনি। সেই কারণে তাঁকে ১৫ মিনিটের জন্য হলেও, রামকৃষ্ণ সমাধি রোডের ফ্ল্যাটে আসার জন্য চাপ দিয়েছিলেন অমিত।

অমিতের হিন্দিতে লেখা ৬৭ পাতার সুইসাইড-নোট থেকে জানা যায়, প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সুপারি কিলারের খোঁজ করছিলেন তিনি। এজন্য বিহার এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেন অমিত আগরওয়াল। কিন্তু খোঁজ শুরুর মধ্যেই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই সন্ধান আর করতে পারেননি।
এরপরে নেটে এ বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন।
প্রথমে শুধু স্ত্রী শিল্পীকেই খুন করতে চেয়েছিলেন। কারণ, ছেলেকে অসম্ভব ভালবাসতেন অমিত। তাকে ছেড়ে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। অন্তত সুইসাইড নোটে সেটাই লিখেছেন তিনি। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল করেন। তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর বিচ্ছেদের জন্য শ্বশুরবাড়িকে দায়ী করে তাঁদেরকেও নিজের হিটলিস্টে আনেন।
অমিত আগরওয়াল সোমবার, ঘটনার দিন বিকেল তিনটে ৫৬ মিনিটে ছেলেকে নিয়ে নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দরে নামেন। বন্ধুকে ফোন করে বিমানবন্দরে ডেকে পাঠান তিনি। ছেলেকে বেলঘড়িয়া দাদা প্রদীপ আগরওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। বন্ধুকে বলেন, সেক্টর ফাইভে তাঁর একটি কাজ আছে। তারপর সেখান থেকে তিনি একটি ক্যাব ভাড়া নেন। ক্যাবে করে তিনি গিয়ে নামেন রামকৃষ্ণ শ্বশুরবাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। বাকি পথ হেঁটে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের অনুমান, এর মাঝখানে কোনও একটি আবাসনে একজনের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। এবং সেখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। কারণ, বিমানে করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কীভাবে অমিত খুনের অস্ত্র জোগাড় করলেন এবং তাঁর এই পরিকল্পনায় আর কেউ সামিল ছিলেন কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Previous articleপাঁচ দিনে ৪০ হাজারেরও বেশি সাইবার অ্যাটাক দেশে, কাঠগড়ায় চিনা হ্যাকাররা
Next articleমনোবল বাড়াতে লাদাখে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের