মানচিত্র বদলে নিজের দলেই কোণঠাসা নেপালের প্রধানমন্ত্রী

ভারতের জায়গা নিজেদের মানচিত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে এবার দেশেই কোণঠাসা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে যে চাপের মুখে তাঁর গদি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম। কারণ, নেপালের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির একটা বড় অংশই এই বিষয়টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, এটি কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ বিরোধী আচরণ।

ভারতের সঙ্গে বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল নেপালের। কিন্তু চিনা উস্কানিতে ভারতের ৩টি এলাকা নিজেদের মানচিত্র ঢুকিয়ে সেটা নেপালের বলে দাবি করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তার চিনা প্রেমে বরাবর দেশের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু মানচিত্র বাদলের পরে তা আরও বাড়তে শুরু করে। বিষয়টা এমন দাঁড়ায়, যে দলের মধ্যেই প্রবল বিক্ষোভের জেরে তাঁর কুর্সি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম। পরিস্থিতি সামলাতে শনিবার নিজের বাড়িতে দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন কেপি শর্মা ওলি। কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা চিনের উস্কানিতে হঠাৎ করে ভারতের অংশকে নিজেদের বলে দাবি করার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে তারা কোনভাবেই রাজি নন।
ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কের তাল কাটতে শুরু করে লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের পর থেকে। এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামে নেপালের ওলি সরকার। তাদের তিনটি জায়গা ভারত জোর করে দখল করেছে এই অভিযোগ তুলে তোলে নেপাল।
বিহারের সীমান্ত এলাকায় নেপাল সেনাবাহিনীর গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়। কিন্তু এই নিয়ে ভারত পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় যায়নি। বিষয়টি কূটনৈতিকস্তরে রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে চায় দেশ। তবে নেপালের সরকারের কার্যকলাপের উপর দৃষ্টি রেখেছে নয়াদিল্লি। অনেকে আবার বলছে, এই নেপালের এই সরকারের মেয়াদ বেশি দিন নেই। এবং মানচিত্র বদলে তাদের ক্ষমতা হারানোর রাস্তা আরও ত্বরান্বিত হল। এই পরিস্থিতিতে নেপালের রাজনৈতিক ডামাডোলের দিকে নজর রেখেছে কেন্দ্র।

Previous articleসুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত: যশরাজ ফিল্মসের প্রাক্তন আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
Next articleকরোনা আক্রান্ত ক্যাব চালক, অ্যাপ সূত্র ধরে যাত্রীদের খুঁজছে স্বাস্থ্য দফতর