স্কুলে বিক্ষোভে ফায়দা তুলছে নতুন চক্র, বিপদ বাড়ছে

স্কুলের ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত আন্দোলনকে ঘিরে বিচিত্র এক চক্র মাথা তুলছে বলে ইঙ্গিত মিলছে।

এই লকডাউনপর্বে বিভিন্ন স্কুলে দাবি চলছে, ক্লাস বন্ধ, তাই বেতন নেওয়া চলবে না।

বেসরকারি স্কুলগুলির বক্তব্য: ক্লাস না হলেও শিক্ষকদের বেতনসহ সব খরচ দিতেই হচ্ছে। ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে স্কুলবাসের চালক, কর্মীসহ সব খরচ আছে।

তবু বহু স্কুল বর্ধিত বেতন নিচ্ছে না। তাছাড়া বাসের তেলের খরচ বা টিফিন খরচ মকুব করছে।

এই অবস্থায় বহু জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। লকডাউনে আয় কমায় বহু অভিভাবকও এতে সামিল হচ্ছেন। কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে এর পেছনে অন্য গল্প আসছে।

সূত্রের খবর, অভিভাবকদের সমস্যা ও আবেগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র এদের সংগঠিত করছে। এই উদ্যোক্তারা অভিভাবক নন। এরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ও অন্যান্য পদ্ধতিতে অভিভাবকদের সমন্বয় ঘটাচ্ছেন।

এরপর কখনও আন্দোলন বাড়ানোর নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে। কখনও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোপন দরাদরিতে বলা হচ্ছে এত টাকা না দিলে আন্দোলন বাড়িয়ে দেব। কোনো ক্ষেত্রে অঙ্ক কষা রাজনৈতিক রং ও অন্য পরিকল্পনাও রয়েছে। সাধারণ অভিভাবকরা এসব বুঝতে পারছেন না।

বিষয়টি আগামীদিন বড় বিপদ তৈরি করে স্কুল ও অভিভাভবকদের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা। আড়ালে থাকা চক্র অন্যায়ভাবে পরিস্থিতি ব্যবহার করছে।

Previous articleলক্ষ্য চিন, করোনা বিশ্ব মহামারির কারণ খুঁজতে এবার তদন্ত চাইছে ভারতও
Next articleকলকাতার বৃক্ষনীতি নিয়ে ই-বই প্রকাশিত