অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এবং পরিবর্তিত পদ্ধতিতে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হলেও সেরাদের মেধাতালিকা সম্ভবত প্রকাশ করা হবে না৷ সিদ্ধান্ত অনুসারে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে শতকরা হারে নম্বর দিয়ে ফলপ্রকাশ করা হবে৷ এভাবে নম্বর দেওয়ার পর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলে, তা মেধার প্রতি সুবিচার করা হবে কি’না, তা নিয়েই ভাবনা চলছে৷

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এ ব্যাপারে ধন্দে আছে৷ প্রসঙ্গটি সরকারের নজরে আনা হয়েছে৷ সরকারি নির্দেশ অনুসারেই পদক্ষেপ করবে সংসদ৷

এ বছর ফলাফল নির্ণয়ের পদ্ধতি ঠিক হয়েছে, বাতিল পরীক্ষাগুলিতে নম্বর দেওয়া হবে শতকরা হারে। যে পরীক্ষাগুলি হয়ে গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাবে একজন পরীক্ষার্থী, সেটিরই শতকরা হার দেওয়া হবে বাতিল হয়ে যাওয়া পরীক্ষায়। এতে অনেকে যেমন বাড়তি নম্বর পেয়ে যেতে পারে, তেমন অনেকেই বঞ্চিত হতে পারে। বাণিজ্য শাখায় অ্যাকাউন্টেন্সিতে বেশি নম্বর ওঠে। বাকি বিষয়গুলিতে ততটা নম্বর মেলে না৷ কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টেন্সির নম্বরও নির্ভর করবে বাকি বিষয়গুলির উপরে। আবার যাদের ‘লো স্কোরিং’ বিষয়গুলি বাকি রয়েছে, তারা অনেকটাই লাভবান হবে।

এবারের পাশ-ফেল যখন এই ফরমূলার উপর নির্ভর করছে, তখন মেধাতালিকা তৈরি করা হলে, সেটা সঠিক ন্যায়বিচার হবে না বলেই মনে করছে ওয়কিবহাল মহল।

আরও একটি বিষয় ভাবনায় রাখতে হচ্ছে৷
কোনও পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট হয়ে ফের লিখিত পরীক্ষায় বসতে চাইতে পারে। সংসদ সেই বিকল্পও রেখেছে। তেমন ঘটনা ঘটলে, ফের বড়সড় রদবদল হবে নম্বরের। তখন নতুন করে করতে হবে মেধাতালিকা। তাই সব মিলিয়ে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷
