তৈরি হচ্ছে ভারত, ৩৩টি যুদ্ধবিমান,২৪৮টি এয়ার মিসাইল কিনতে সবুজ সংকেত কেন্দ্রের

ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ৩৩টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিলো কেন্দ্র৷ দু’ধরনের যুদ্ধবিমান কেনা হচ্ছে রাশিয়া থেকে৷ ১২টি সুখোই Su-30 MKI এবং ২১টি MiG-29s যুদ্ধবিমান কেনা চূড়ান্ত হয়েছে৷ লাদাখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতেই অত্যাধুনিক ৩৩টি যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলো বায়ুসেনা৷ ২০১৬ সালে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে এই ৩৩টি যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷

পাশাপাশি ভারতের ভাণ্ডারে থাকা ৫৯টি MiG-29s যুদ্ধবিমান আপগ্রেড করা হচ্ছে৷ এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা৷
একইসঙ্গে, ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার জন্য ২৪৮টি ‘এয়ার-টু- এয়ার মিসাইল’ কেনার ছাড়পত্রও দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক৷ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO-কে ১০০০ কিমি দূরে হামলা করতে সক্ষম
নতুন ক্রুজ মিসাইল তৈরির সবুজ সংকেতও দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক৷

🔺রাশিয়া থেকে আসছে সুখোই-৩০ MKI এয়ারক্রাফ্ট৷ সুখোইয়ের নির্মাতা রাশিয়ার সুখোই কর্পোরেশন। ভারতে সুখোই-৩০ MKI তৈরির লাইসেন্স HAL বা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের৷ ২০০২ সালে রাশিয়ার থেকে প্রথম সুখোই-৩০ MKI পায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ২০০৪ সালে কাজে নামে সুখোই। ২০২০- র জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে মোট ২৬০টি সুখোই-৩০ MKI আছে। সুখোইয়ের প্রযুক্তি বদল করে তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই যুদ্ধবিমানে মিসাইল ছোড়ার ক্ষমতা যুক্ত করেছে ভারত। সুখোইয়ের নয়া মডেল ব্রাহ্মস ক্রুজ মিসাইল বহন করতে পারে। সুখোই থেকে ব্রাহ্মস ছুড়ে আকাশ থেকে ভূমিতে টার্গেট করা যায়। অন্তত ৩০০ কিলোমিটার পাল্লায় কাজ করে এই মিসাইল।


বিশ্বের সব ধরনের মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট-এর
মধ্যে সুখোই সর্বাধুনিক ও শক্তিশালী।

🔺রাশিয়া থেকে আসছে
নয়া ভার্সনের মিগ-২৯ ফাইটার জেট৷ ডবল ইঞ্জিন ফাইটার জেট মিগ-২৯-এর ডিজাইন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের৷ আমেরিকার ফাইটার জেট ম্যাকডোনেল ডগলাস এফ-১৫ ঈগলকে টক্কর দিতে মিগ-২৯ তৈরি হয়েছিল। এই ফাইটার জেট আকাশ থেকে ভূমিতে টার্গেট করতে পারে। ১৯৯০-২০০০ সালের মধ্যে এই যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে তিন স্কোয়াড্রন মিগ-২৯ রয়েছে। অতিরিক্ত জ্বালানি ছাড়াই ১৫০০ কিলোমিটার উড়তে পারে মিগ-২৯।

🔺DRDO থেকে আসছে এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল৷ এই এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ভারতের DRDO তৈরি করেছে। যে কোনও আবহাওয়ায় কাছের বা দূরের পাল্লায় লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত টার্গেট করতে পারে এই মিসাইল। শর্ট-রেঞ্জে ১০ কিমি ও দূরপাল্লায় ১১০-১৬০ কিমি রেঞ্জে নিশানা করতে দক্ষ৷ ১৫ কেজি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক নিয়ে ঘণ্টায় ৫ হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার বেগে উড়ে গিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে সক্ষম অস্ত্র৷ আকাশযুদ্ধে এই মিসাইল মুহুর্তে শত্রু’র ফাইটার জেট ধ্বংস করতে পারে।

🔺DRDO থেকে আসছে ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল৷ নৌবাহিনীর জন্য সারফেস- টু- সারফেস ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল আসছে DRDO থেকে৷ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্রুজ মিসাইল ১০০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তু নিমেষে ধ্বংস করতে সক্ষম৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের উপযোগী রকেট লঞ্চার তৈরি করেছে অ্যাডভান্সড সিস্টেম ল্যাবোরেটরি।

Previous articleভারতের জাতীয় সম্পদ রেল বিক্রি করছে কেন্দ্র, কড়া সমালোচনা সেলিমের
Next articleচিনা মাঞ্জা রুখতে এবার ‘ফেলুদা কৌশল’ কলকাতা পুলিশের!