মোদির হুলে বিদ্ধ চিন বলল আমরা আগ্রাসন চালাই না!

চিনের নাম উচ্চারণ না করে লাদাখের মাটিতে দাঁড়িয়ে তীব্র কটাক্ষ আর হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তাতেই গায়ে জ্বালা ধরেছে বেজিং প্রশাসনের। সীমান্তে সেনার মনোবল বাড়াতে শুক্রবার আচমকা সফরে সিন্ধু নদের তীরে সমতল থেকে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় লাদাখের নিমুতে দাঁড়িয়ে চিনের চোখে চোখ রেখে যে ‘বার্তা’ দিয়েছেন মোদি, তার অভিঘাত সামলাতে এরপর বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। করোনা আবহে এবং হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে এমনিতেই এখন কোণঠাসা চিন। তার উপর ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ ইস্যুতেও বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ভারতের পাশে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদির আকস্মিক লাদাখ সফরে তেলেবেগুনে জ্বললেও আপাত সংযত প্রতিক্রিয়াই দেখাতে হচ্ছে বেজিংকে। তাদের প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট, ভারতের পদক্ষেপে বেজায় চাপে চিন।

লাদাখের মাটিতে মোদির গুরুত্বপূর্ণ বার্তা: এটা বিকাশবাদের জমানা, বিস্তারবাদের নয়। অতীতে যারা বিস্তারবাদের নীতি নিয়ে চলেছে তারা মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং পরাজিত হয়েছে। আজকের দুনিয়া মানুষের বিকাশের কথা ভাবে। কিন্তু যারা বিকাশকে পিছনে ফেলে বিস্তারবাদের নীতিকে আঁকড়ে আছে তাদের পিছু হঠতে হবেই। তারা কিছুতেই জিততে পারবে না। নাম না করে দক্ষিণ এশিয়ায় চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রাসন ও অাধিপত্যবাদের নীতিরই প্রবল সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর এরপর চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, বারোটি দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে চিন তার সীমান্ত চিহ্নিত করেছে। সীমান্ত ভূখণ্ডে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার নীতি নিয়ে চলেছে। ফলে চিনকে আধিপত্যবাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করা ভিত্তিহীন ও অমূলক। এর ফলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল হবে যা কাম্য নয়। এর আগে এদিন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। এখন এমন কিছু করা ঠিক নয় যাতে উত্তেজনা বাড়ে। বোঝাই যাচ্ছে, মোদির সফর চিনকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলেছে।

 

Previous articleপ্লাজমা দান করলেন রাজ্যের প্রথম পুলিশ কর্মী এখলাক আহমেদ
Next articleরাজ্যে ৭০০ ছাড়ালো করোনায় মৃত্যু, আক্রান্ত পেরোলো ২০ হাজার