বিজেপির বিরোধিতা করুন, দেশের নয়, কুণাল ঘোষের কলম

এই ফেস বুক নিয়ে আমি বিভ্রান্ত 😱

প্রসঙ্গ: মোদি ও চিন

1) মোদি চুপ কেন? মোদি যাচ্ছেন না কেন?

মোদি গেলেন।

মোদি আগাম বলে গেলেন না কেন?
প্রচার নিলেন কেন?
ছবি উঠল কেন?
শ্রীকৃষ্ণের কথা বললেন কেন?

2) ও মা ! ওটা হাসপাতাল নাকি? স্যালাইন কই? মোদি সেনাকে দিয়ে নাটক করলেন কেন? ঢপবাজ।

সেনা বলল, ওটা হাসপাতাল না। কোভিডের জন্য জরুরিভাবে তৈরি কোয়ারান্টাইন সেন্টার।

তাই নাকি?
তাহলে সেনাকে ব্যাখ্যা দিতে হয়, এমন কাজ মোদি করেন কেন? যাবেন কেন কোয়ান্টাইনে থাকা সেনাদের কাছে?

3) ইয়ার্কি হচ্ছে? শুধু অ্যাপ বন্ধ? যুদ্ধ কই? 56 ইঞ্চি যাক বেজিং দখল করুক। নাটক হচ্ছে? হুঙ্কার কই?

***

গরম কথা চলবে না। শালা, বুঝি না কিছু? আমরা গা…? নজর ঘোরাতে কেবল সীমান্তে হুঙ্কার? একদম না। চিন আমাদের উন্নয়নের দিশারী। সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। শান্তির পথে আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে হবে।

সোশাল ভিডিয়া ভুলভুলাইয়া।
ভাগ্যিস, 1947-এর আগে ছিল না।
একজন বিপ্লবীও আসল বিপ্লবীর স্বীকৃতি পেতেন না।
বিপ্লব তো এখানে। এই ফেস বুকে।

আমি বিজেপি সমর্থক একদম নই।

কিন্তু স্পষ্ট দেখছি তথাকথিত বিজেপিবিরোধিতার নামে কার্যত দেশের সম্মান, সেনাদের আবেগ নিয়ে যে অসভ্যতা হচ্ছে; তার বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় এদের জন্যেই বিজেপির লাভ হচ্ছে।

আমি বিজেপির বিরোধী। আমি ইন্দিরা গান্ধীর বিদেশ নীতির ভক্ত।
কিন্তু আজ এই সময় যখন দেখি ব্যক্তিগতস্বার্থের অঙ্কে বিজেপিবিরোধীর মুখোশধারী বাংলা কাগজ ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর লাদাখসফর প্রথম পাতায় বসায় না; কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কুৎসিত কটাক্ষ করে; তখন মাথা গুলিয়ে যায়।

ভাবি, আমরা গণতন্ত্রটার সঠিক ব্যবহার করছি তো?

একটা দলের বিরোধিতা করতে গিয়ে জাতীয়তাবোধের পরিপন্থী কাজ করছি না তো?

আগমার্কা বিজেপিবিরোধী বিপ্লবী সাজতে গিয়ে অন্তত এই চিন সীমান্ত প্রশ্নে আমার দেশের স্বার্থহানিকর প্রচারেই মেতে উঠছি না তো?

এই আগমার্কা তথাকথিত প্রগতিশীলদের উপর তীব্র বিরক্তিতেই মানুষ বিজেপিকে হাজার দোষ সত্ত্বেও সমর্থন করে দিচ্ছেন।

অবাধ গণতন্ত্রের বৈধ বা অবৈধ উৎপাদিত কৃত্রিম বিপ্লবীরা এইভাবেই কি বিজেপিবিরোধিতার নামে বিজেপির পক্ষে ইস্যুভিত্তিক ঐক্যের পথে ঠেলে দেবেন মানুষকে?

আরে, বিজেপির হাজার এক বিরোধিতা করুন।
কিন্তু এই চিন সীমান্ত ইস্যুতে তো মুঠোফোনের সুযোগে ভারতের পক্ষে চড়াসুরের প্রচারটা করুন।

দেশটা আমাদের। বিজেপির নয়।
বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজেপিরই হাত শক্ত করার মানে কী?
আমি নরেন্দ্র মোদির একশো ভুল নিয়ে কথা বলব। কিন্তু এই চিন সীমান্ত ইস্যুতে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অযৌক্তিক প্রচার আমার রুচিতে বাধবে।

 

Previous articleশিলিগুড়িতে করোনা রোধে জরুরি বৈঠক, ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ গৌতম
Next articleবিজেপির লক্ষ্য শুধু ভোটে জেতা নয়, মানুষের সেবায় কাজটাই আসল: মোদি