রোমহর্ষক লড়াইয়ের পর সুন্দরবনের জঙ্গলে মৎস্যজীবীকে তুলে নিয়ে গেলো বাঘ

সুন্দরবন পঞ্চমুখী জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। আর তাঁকেই তুলে নিয়ে গেলো বাঘ। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম যামিনী মিস্ত্রী (৫২)। ঘটনাটি ঘটেছে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পঞ্চমুখানি ২ নম্বর জঙ্গলে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর বাড়ি সুন্দরবন কোষ্টাল থানার লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

জানা গিয়েছে, সুন্দরবন জঙ্গলের নদী খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতেন যামিনী মিস্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা।ফিরেও আসতেন। দীর্ঘদিন ধরে এটাই ছিল তাঁর পেশা। অন্যান্য দিনের মতো লাহিড়িপুর গ্রাম থেকে তিনজন সঙ্গী মিলন মিস্ত্রী,অজিত মন্ডল ও অসিত মাঝিকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের পঞ্চমুখানি ২ জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন যামিনী মিস্ত্রী।

বিকালে সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতে যখন সকলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক সেই সময় সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে। লাফ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যামিনীর উপর। মুহূর্তে তাঁর ঘাড়ে কামড় দিয়ে পিঠে তুলে নিয়ে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
যামিনী মিস্ত্রীকে চোখের সামনে বাঘ আক্রমণ করেছে দেখতে পেয়ে তাঁর তিন সঙ্গী মিলন মিস্ত্রী,অজিত মন্ডল ও অসিত মাঝি নৌকার হাল আর কাঁকড়া ধরার শিক দিয়ে বাঘের সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু করে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্ষুধার্ত নরখাদক বাঘের ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তির সামনে সঙ্গীকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েও নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হয় তাঁরা।

এদিকে বাঘ তার শিকারকে টানতে টানতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে নিয়ে চলে যায়। বিপদ হতে পেরে ভেবে যামিনী মিস্ত্রীর তিন সঙ্গী নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে তড়িঘড়ি নৌকার বৈঠা বেয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। লাহিড়ীপুর গ্রামে যামিনীর বাড়িতে যখন খবর আসে, তখন পরিবারের লোকেরা ভেঙে পড়েন। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

দেখুন ভিডিও…

 

Previous articleবিধ্বস্ত বাংলার পাশে দাঁড়াতে প্রবাসীদের উদ্যোগে শুরু ‘HOPE 2020’
Next articleআইএএসদের দফতর বদল