নজির: বিরলতম অসুখ, বেঁচে ফিরলেন রোগী! আন্তর্জাতিক জার্নালে কলকাতার এই হাসপাতাল

চিকিৎসায় নজির গড়ল মহানগরের হাসপাতাল। ধীরে ধীরে পচে যাচ্ছিল রোগীর দেহের বিভিন্ন অঙ্গ। মৃত্যুশয্যা থেকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হল রোগীকে।ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে মরণাপন্ন অবস্থায় এসেছিলেন বিরল অসুখে আক্রান্ত অরিন্দম। জড়বস্তুর মতো বিছানায় শুয়ে থাকতেন ২৪ ঘন্টা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা জানিয়েছেন, “বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। হাল ছাড়েননি চিকিৎসক।” দীর্ঘদিন ধরে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখে দেওয়া হয় রোগীকে। এরপর ডা. সেন দীর্ঘ সময় ধরে নানা অস্ত্রোপচার করে তার শরীরের ভিতর থেকে পচে যাওয়া অংশ বাদ দেন। তাকে সুস্থ করে তোলেন। টানা ১৫ দিন পর তিনি ছাড়া পান। এই ঘটনা স্থান পেতে চলেছে বিশ্বের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নালে। চিকিৎসক শুদ্ধসত্ব সেন বলেন, “তিলোত্তমায় যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব তা প্রমাণিত হল।”

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এর আগে গোটা বিশ্বের ১৪ জন এই অসুখে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১১ জন মারা গিয়েছেন। তিনজন কোনও ক্রমে বেঁচে যান। সেই তালিকায় চতুর্থ সংযোজন কাটোয়ার অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় এ অসুখের নাম “প্রাইমারি ইডিওপ্যাথিক রেট্রোপেরিটোনিয়াল নেক্রটাইজিং ফাসিআইটিস।” পেটের ভিতরের অংশ অর্থাৎ নাভি থেকে পিছন দিকে শিরদাঁড়া পর্যন্ত পেটের অভ্যন্তরে নানান অঙ্গ পচতে শুরু করে। আরও পরিস্কার করে বললে প্রতিটি অঙ্গের চর্বি, টিস্যু, মাসল, বিভিন্ন নার্ভ দিয়ে জোড়া থাকে। সেগুলি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়। শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। প্রচণ্ড ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারেন না রোগী। এসব ক্ষেত্রে মৃত্যু অবধারিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ১ শতাংশেরও কম।
তবে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন ডা. শুদ্ধসত্ব সেন। নতুন জীবন ফিরে পেয়ে ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অরিন্দম।

Previous articleকানপুর কাণ্ডে নয়া মোড়, অভিযানের আগাম খবর ছিল বিকাশের কাছে!
Next articleদিঘায় জলোচ্ছ্বাস, বাণিজ্য নগরীও ভাসছে অতিবৃষ্টিতে