ভারতের উপর চাপ বাড়াতে এ বার ভুটানের ভূখণ্ডও নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন

দিনকয়েক আগে লাদাখে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাম না উল্লেখ করে চিনকে ‘বিস্তারবাদী’ বলেছিলেন৷ সঙ্গে সঙ্গেই তার জবাবে চিনা দূতাবাস জানায়, চিনকে ‘বিস্তারবাদী’ বলে অভিযুক্ত করা ঠিক নয়৷ ১৪টির মধ্যে ১২টি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তিপূর্ণ ভাবে সীমান্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলেছে বেজিং৷

আর এই বিবৃতির পরেই ভারতের উপর চাপ বাড়াতে এ বার ভুটানের ভূখণ্ডও নিজেদের বলে দাবি করলো চিন৷ নেপালের মতো ভারতের মিত্র ভুটানকেও দলে টানতে চিন এই চাল দিয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ এক বিবৃতি দিয়ে বেজিং জানিয়েছে, ভুটানের পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম অংশে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ রয়েছে৷ পাশাপাশি ভারতের নাম না করে দিল্লিকে হুঁশিয়ারির সুরে চিন জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভুটানের বিবাদে যেন কোনও তৃতীয়পক্ষ হস্তক্ষেপের চেষ্টা না করে৷

ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যের উন্নয়নের জন্য অনুদান পেতে Global Environment Facility-তে আবেদন জানিয়েছিল ভুটান৷ কিন্তু ভুটানের এই আবেদন নিয়ে আপত্তি তুলে চিন বলে, ওই এলাকা নিয়ে বিবাদ রয়েছে৷ তাই ওই সব এলাকা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না ভুটান৷ যদিও চিনের আপত্তি সত্ত্বেও ভূটান ওই অনুদান পেয়েছে৷
দিল্লির চিনা দূতাবাসকে ভুটানের তরফে জানানো হয়েছে সাকতেং অভয়ারণ্যের গোটাটাই তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷

মনে করা হচ্ছে, চিনের এই কৌশল আসলে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক না রাখার জন্যই ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির উপরে চাপ তৈরি করছে বেজিং৷

Previous articleকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার থেকে পথে নামছে তৃণমূল
Next articleবিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে শ্রীঘরে বর, কোয়ারেন্টাইনে বরযাত্রীরা