“এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, এখানে তাণ্ডবলীলা চলবে না”, অর্জুনকে মনে করিয়ে দিলেন ফিরহাদ

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্টি-সংস্কৃতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তিনি চাইছেন, মাসেল পাওয়ার দিয়ে সবকিছু জয় করতে। আজ, এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

এক্ষেত্রে ফিরহাদ হাকিম অর্জুনকে মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “এটা উত্তর বা মধ্য প্রদেশ নয়, যেখানে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে মাসেল পাওয়ার দিয়ে নিজের ক্ষমতা দেখানো শাসন করা যায়। এটা রবীন্দ্রনাথের বাংলা, কাজী নজরুলের বাংলা, স্বামী বিবেকানন্দের বাংলা। এখানে বাংলার সংস্কৃতি এবং কৃষ্টি রয়েছে, যা নষ্ট করা চলবে না। এই অনুভূতিটা অর্জুনের মধ্যে নেই। ও এমন একটা দলে গিয়ে ভিড়েছে, যেখানে শুধু বদলার কথা বলা হয়। কেউ যদি মনে করে, সব কিছুর ক্ষেত্রে বদলা নেবে তা এই বাংলায় থেকে সম্ভব নয়”।

বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূল হালিশহরে নেতাজির মূর্তি ভেঙেছে। বিজেপির সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ফিরহাদ হাকিম পাল্টা বলেন, “ভাঙাভাঙির কালচার আমাদের নয়, ওটা বিজেপির কালচার। তাই ওরা এখানে নেতাজির ছবি ভাঙে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে।”

পাশাপাশি এদিন করোনা প্রসঙ্গে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, কলকাতায় বস্তি এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমনের হার অনেকটাই কম। তার কারণ হিসেবে ফিরহাদের ব্যাখ্যা, এই সমস্ত বস্তি এলাকাগুলিতে পুরসভার কর্মীর-স্বাস্থ্যকর্মী-আশাকর্মীরা বারবার পর্যবেক্ষণ করছেন। সেখানে কেউ করোনা আক্রান্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে প্রত্যেকটি মানুষকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের জ্বর অথবা অন্য কোনও শারীরিক অসুবিধা আছে সেসব বিষয়ে খোঁজখবরও নেওয়া হচ্ছে। ফ্ল্যাটগুলিতে অবশ্য তা সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কারণ, ফ্ল্যাটগুলিতে সবসময়ের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং যদি কোনও ফ্ল্যাটে বা আবাসনের কেউ করোনা পজিটিভ হন, সেক্ষেত্রে যদি নিজে থেকে পুরসভাকে না জানানো হয়, তাহলে পুরসভার কী করার আছে? প্রশ্ন তুলে ফিরহাদ বলেন, মানুষকে নিজে থেকে অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।

Previous articleসীমান্ত সঙ্ঘাতের প্রভাব আমিরের ছবিতেও!
Next articleনেপালের প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য ঝুলে রইল বুধবার পর্যন্ত