করোনা সংক্রমণ কমে গিয়েছে, এমন কোনও তথ্য এখনও নেই৷ কেন্দ্র নানাভাবে প্রচার করছে, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷ মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেও বলা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে৷
সেইভাবেই নিজেদের বাজেট ঠিক করেছেন দেশবাসী৷ মাসিক খরচের তালিকায় ঢুকেছে এই দুই রক্ষাকবচ৷ নিম্নবিত্ত মানুষও যেভাবেই হোক কিনছে মাস্ক৷
আর ঠিক সেই পরিস্থিতিতেই মাস্ক ও স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে সরিয়ে দিলো কেন্দ্রীয় সরকার৷
ভারতে সংক্রমণ শুরুর পরই মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ এবার থেকে আর তেমন থাকছে না৷
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকাভুক্ত হওয়ায় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার মজুত এবং কালোবাজারি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল৷ কিন্তু ফের মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে সাধারণ পণ্যের আওতায় নিয়ে আসায় এই দু’টি জিনিসেরই দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান জানিয়েছিলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে ২, ৩ প্লাই মাস্ক এবং এন ৯৫ মাস্ককে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল৷ ৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর ছিল৷
সংক্রমণ বৃদ্ধির পর দেশে প্রথম দিকে অধিকাংশ বিক্রেতার কাছেই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছিলো না৷ আবার চড়া দাম নেওয়ার অভিযোগও উঠছিল৷ সেই কারণেই মজুতদারি এবং কালোবাজারি ঠেকাতে এই জিনিসগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়৷
নরেন্দ্র মোদি সরকারের বক্তব্য, বর্তমানে জোগান অনেক স্বাভাবিক হওয়ায় এবং বাজারে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের সরবরাহ ঠিকঠাক থাকায় এগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকার বাইরে আনা হলো৷
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ফের মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা শুরু হয়ে গিয়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷