পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে শুরু লকডাউন পাঠশালা

করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের প্রভাব পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। এই অবস্থায় পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে পড়ুয়াদের। তাই ‘বিশ্বে আজ মহামারী তাই শিক্ষক শিক্ষিকারা বাড়ি বাড়ি’ এই আদর্শকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র ও রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়ার চিফ কো অর্ডিনেটর প্রাথমিকভাবে আদিবাসী এলাকাগুলিতে গাছ তলায় পাঠশালা চালু করেন।

অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তর একত্রিত হয়ে লকডাউনে পাঠশালা শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার হীরাপুর ব্লকের প্রান্তিক আদিবাসী গ্রাম ধেনুয়াতে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় তপন পোড়েল, আবু বক্কর, অনিমেষ গুপ্ত, সচিন সিংহ ও নদীয়া জেলায় জয়ন্ত সাহা, সান্টু ভদ্র, উত্তর দিনাজপুরে গৌরাঙ্গ চৌহান প্রমুখদের উদ্যোগে এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে লকডাউন পাঠশালা। জঙ্গলমহলের শালবনী ব্লকে প্রান্তিক রাধামোহনপুর আদিবাসী বিদ্যালয়ে নিয়মিত অলচিকি ও বাংলা ভাষায় চলছে লকডাউন পাঠশালা তন্ময় সিংহ ও সহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্যোগে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে শিশুদের পুষ্টি সামগ্রী দিয়ে, কখনও খেলাধূলার সামগ্রী দিয়ে এই দীর্ঘ লকডাউনে তাদের মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের প্রচেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “বিপদের সময় পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বাংলার শিক্ষক কূল মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ তৈরি করছেন।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশে আছেন।” নিয়মিত চাল ও আলুর সাথে সঙ্গে ডাল ও স্যানিটাইজার দিয়ে তোমাদের পাশে থাকার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান। অশোক রুদ্র বারেবারে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজ্য কমিটি,জেলা কমিটি,চক্র কমিটি থেকে সাধারণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লকডাউনে স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবেদন জানিয়েছিলেন ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে যেতে। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বলে অশোক রুদ্র জানিয়েছেন।

Previous articleসংঘর্ষের আবহে ৫০টি চিনা লগ্নির আর্জি ভারতে
Next articleমাস্ক, স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে সরিয়ে দিলো কেন্দ্র