Thursday, August 28, 2025

‘আনন্দবাজার’কে তুলোধনা করলেন মমতা

Date:

Share post:

রাজ্যে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি-এবিপি-র সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। হাজরায় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ অনুষ্ঠানে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকার নাম করে তিনি বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে আনন্দবাজার”। মমতা বলেন, অনেক সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে। আর কারও সম্পর্কে তিনি বলছেন না। সমালোচনা তিনি ভালোভাবেই নিতে পারেন। কিন্তু আনন্দবাজার ইচ্ছে করে প্রতিদিন একাধিক সরকার-বিরোধী খবর করছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজেরা অনিয়ম করছে আনন্দবাজার গোষ্ঠী”। প্রচুর সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিককে তারা এই পরিস্থিতির মধ্যেই ছাঁটাই করেছে। প্রচুর লোকের বেতন কমিয়ে দিয়েছে। “আর জেলার লোকেরা যে কি করে সে বিষয়ে আর নাইবা বললাম”- মন্তব্য মমতার।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিজেদের সংবাদপত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে গলদ রয়েছে আনন্দবাজারের। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে কোনও পুলিশ কর্মী বা রাজ্য সরকারি কর্মীর চাকরি যায়নি। অথচ আনন্দবাজারে প্রতিদিন ছাঁটাই হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে আনন্দবাজারকে আক্রমণ করায় মিডিয়ামহলেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একটি অংশের বক্তব্য, মমতা ঠিক করেছেন। সংবাদমাধ্যম বলে সমালোচনায় ছাড় পাবে কেন? অন্য অংশের বক্তব্য, এসব মমতার মরশুমি কথা। এই আনন্দবাজার গোষ্ঠীকেই বিপুল টাকার বিজ্ঞাপন দেন। এখন কিছু অপছন্দ হলেই এসব কথা। রাজ্য সরকার চ্যানেলগুলির মধ্যে অন লাইন ক্লাস আনন্দবাজার গোষ্ঠীর চ্যানেল দিয়েই শুরু করেছিল। তখনও ওই গোষ্ঠীতে ছাঁটাইপর্ব চলেছে। মমতা একটি শব্দও বলেননি। এখন কিছু অপছন্দের খবর বেরোতেই তাঁর এসব প্রতিক্রিয়া। অতীতেও এসব হয়েছে। নিজেই বলেছেন ওই চ্যানেল দেখবেন না। নিজেই তারপর গিয়ে বসেছেন। সিঙ্গুরেও একবার কাগজের সম্পাদকের নাম করে কামান দেগেছিলেন। পরে মিটমাট। পুরোটাই সুবিধা অনুযায়ী। এক নম্বর কাগজের গণ্ডির বাইরে থাকা মমতা ভাবতেও পারেন না। ফলে এরকম দু একটা ভাষণ শরতের মেঘের মত। আনন্দবাজারের মধ্যে অবশ্য চাপা আলোচনা করছে একাংশ যে, যিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি বলে জাহির করে সব খবরে ছড়ি ঘোরান, তিনি দিদিমণির এই রাগ সামলাতে পারলেন না কেন?

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...