ইমরানের উপর ক্ষেপে লাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর

গিলগিট-বালুচিস্তান অঞ্চলের একাধিক এলাকা চিনকে ‘দান’ করেছে পাকিস্তান। এই কাজের মূল লক্ষ্য চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোরের রাস্তা আরও মসৃণ করা। ৩২১৮ কিলোমিটার লম্বা এই করিডোর চিনের ‘ড্রিম প্রোজেক্ট।’ যার মধ্যে একটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর উপর নির্মীয়মাণ বাঁধ। এতে ক্ষিপ্ত স্থানীয়রা। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে চিনের বিরোধিতা করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর বাসিন্দারা। মুজাফফারাবাদে মিছিল করেছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বেজিং থেকে দূরত্ব তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে। গোটা বিশ্ব চিনের উপর ক্ষিপ্ত। তাই এই আবহে বিদেশমন্ত্রকের আশঙ্কা চিনের সঙ্গ না ছাড়লে আমেরিকা সহ বিশ্বের সব শক্তিশালী দেশ পাকিস্তানকে একঘরে করে দিতে পারে। অন্যদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে বাদ রেখে পাকিস্তান করোনা রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। যার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবার সংকট দেখা দিয়েছে। পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠাচ্ছে না ইমরান সরকার। যার জেরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীর সীমান্তে বারংবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। বেড়েছে জঙ্গি তৎপরতাও। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার আবহে গিলগিট-বালুচিস্তানে প্রায় ২০ হাজার বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা বাহিনীকে সাহায্য করা সরকারের মূল লক্ষ্য। ইমরান সরকারের এহেন ভূমিকা ভালো চোখে দেখছেন না সেদেশের বাসিন্দারা।

Previous articleঠিক রাত ১২টা, সানার দেওয়া কেক কাটলেন সৌরভ
Next articleকরানোকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: মুখ্যমন্ত্রী