সংস্কারের ভার কার? টানাটানিতে ধুঁকছে ফাঁসিরঘাট সেতু

রক্ষণাবেক্ষণের ভার কার? এই দড়ি টানাটানিতে ধুঁকছে কোচবিহার ফাঁসিরঘাটের ছোট্ট কাঠের সেতু। ১৯৫০-এর প্রথম দিকে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। তোর্সা নদীর বাঁক পরিবর্তন করে কোচবিহার শহরের দিকে সরে এলে অস্থায়ীভাবে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সময় এই সেতুটি তৈরি হয়। ১৯৭২ সালে তোর্সা নদীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। তারপর বর্তমান বাধটি তৈরি হয়। সেতুটি কিন্তু আগের জায়গাতেই রয়ে গিয়েছে।

সেই সেতুর উপরে ভরসা করে মূল তোর্সা নদী ও ছোট তোর্সা নদীর মধ্যে চরে প্রচুর মানুষ বসতি স্থাপন করে। প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস ওই জায়গায়। শহরের সঙ্গে সংযোগ বলতে এই একটি সেতুই ভরসা। কিন্তু সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা সেটির।
বন্যা পরিস্থিতি হলে সেতুটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।
দুর্গাপুজোর ভাসান থেকে ছট পুজোতেও এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই সেতুর রক্ষণাবক্ষেণের ভার কার উপর? তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কোচবিহারের প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
কোচবিহার সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার স্বপন সাহা বলেন, নদী রক্ষণাবক্ষেণ, বাঁধ নির্মাণ সমস্ত তাঁদের আওতাধীন। কিন্তু কাঠের এই সেতুটি তাদের আওতায় মধ্যে পড়ে না।
কোচবিহার পিডব্লিউডি-র আধিকারিক নিমাই পাল বলেন, এই সেতুটি পিডব্লিউডির আওতাধীন নয়। সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ কারা করছে সেটাও তাঁর সঠিক জানা নেই।
কোচবিহার পুরসভার তরফ থেকে এই সেতুর বিষয়ে কোন মন্তব্য করেন হয়নি।
পুর এলাকায় হওয়ার সুবাদে জেলা পরিষদের আওতাধীন কোনোমতেই হতে পারে না এই সেতুটি- জানান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল জলিল আহমেদ। এখন প্রশ্ন উঠছে সেতুটি কার?

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই দড়ি টানাটানিতে দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি সেতুটির। অবিলম্বে মেরামতি না হলে বর্ষার সেতু ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পালকে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Previous articleBreaking: এটিকে মোহনবাগানের সবুজ মেরুণ জার্সিতে পাল তোলা নৌকো
Next articleচিনকে চাপে রাখতে কৌশল: ভারতের সঙ্গে নৌমহড়ায় জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া!