মহামারির উৎসভূমি উহানে হঠাৎ বন্যা প্রাকৃতিক না ম্যান-মেড? প্রশ্ন নানা মহলে

বিশ্ব মহামারির উৎসভূমি উহানে বন্যার জলে ধুয়েমুছে সাফ সব প্রমাণ! এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করছে। চিনের সেন্ট্রাল হুবেই প্রদেশে বন্যার গতিপ্রকৃতি দেখে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। বন্যার পিছনে চিনের গভীর কারসাজি দেখতে শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরাই। সন্দেহ, উহানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত সফরের আগে বন্যার জলে মহামারির সব প্রমাণ ধুয়েমুছে সাফ করার চেষ্টা করছে না তো শি জিনপিং প্রশাসন? মহামারির তদন্তের প্রশ্নে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তদন্তের প্রস্তাবে যেভাবে কড়া আপত্তি জানিয়েছে বেজিং, তাতে উহানের বন্যাকেও স্বাভাবিক বলতে নারাজ অনেকেই। এমনকী এই প্রশ্ন তুলছেন খোদ চিনের নাগরিক ও সমাজকর্মীরাও। যে মহামারির করালগ্রাসে আজ ক্ষতবিক্ষত গোটা বিশ্ব, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ও লাগামছাড়া সংক্রমণ চলছে সেই মহামারির কারণ নিয়ে শুরু থেকেই চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও মিথ্যাচারের অভিযোগ। উহানের সাম্প্রতিক বন্যা এই সংশয়কেই ফের জোরালো করছে।

এবছর ২৩ জানুয়ারি থেকে করোনা সংকটের কারণে কয়েক মাস দীর্ঘ লকডাউনে বন্দি ছিলেন উহানের ১ কোটি ১০ লক্ষ নাগরিক। প্রশাসন এখন আবার লাল সংকেত জারি করে বন্যার জন্য উহানের নাগরিকদের ৩০ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত টানা এক মাস ঘরবন্দি থাকতে বলেছে। শুধু বন্যার কারণে নাগরিকদের এতদিন ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ জারি বিস্ময়কর।চিনের সেন্ট্রাল হুবেই প্রদেশে কিছুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে। এই হুবেই প্রদেশের মধ্যেই পড়ে উহান, যা কিনা বিশ্ব মহামারির উৎসভূমি। প্রবল বৃষ্টিতে হুবেইয়ের ইয়াংজে নদীর জল বাড়ছে। আর তার মধ্যেই উহান থেকে ৩৬৮ কিমি দূরের ওয়াই লিং জেলার জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সরকারি সূত্রে নদীবাঁধের সুরক্ষার কথা বলা হলেও জলাধার থেকে ছাড়া বিপুল পরিমাণ জল ও বৃষ্টির জল মিলে বন্যায় ভাসিয়েছে উহানকে। শহরের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। চিনেরই অ্যাক্টিভিস্ট জেনিফার জেং বলেছেন, এই বন্যা কিছুতেই স্বাভাবিক নয়। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে বন্যায় প্লাবিত করা হয়েছে উহানকে, যাতে মহামারির সব প্রমাণ ধুয়েমুছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

 

Previous articleকাপড়ের বাহার নয়, এবার মাস্কে হীরের চমক!
Next articleভাইরাস আক্রান্ত রোগীর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ, ভাইরাল ভিডিও