‘ভয় দেখাচ্ছে রাজভবন’, এই অভিযোগ এনে ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকে যাচ্ছেন না উপাচার্যরা

‘ভয় দেখাচ্ছে রাজভবন’৷

সূত্রের খবর, এই অভিযোগ এনে ‘অপমানিত’ রাজ্যের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আজ বুধবার রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকছেন না৷

মহামারি পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য গত ৭ জুলাই উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই চিঠিতে উপাচার্যদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উত্তরে সব উপাচার্য জানান, রাজ্যে চালু হওয়া নয়া আইন অনুযায়ী রাজ্যপালের চিঠি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে তাঁদের কাছে আসতে হবে৷ এরপর গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাজভবন উপাচার্যদের আরও দুটি চিঠি পাঠিয়েছে৷ এই চিঠি অপমানজনক এবং চিঠিতে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে দাবি উপাচার্যদের।
গত মঙ্গলবার উপাচার্য পরিষদের তরফে একটি বিবৃতিতেও জানানো হয়েছে, ‘গত ১৩ জুলাই মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে একটি অপমানজনক চিঠি পেয়েছেন উপাচার্যরা৷ ১৪ জুলাইও ফের একটি ভীতি উদ্রেককারী চিঠি পেয়েছেন। এরকম গুরুতর জাতীয় সংকটের সময় আচার্যের দফতর থেকে এমন চিঠি পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক৷ নিয়ম মেনেই উপাচার্যরা কাজ করছেন৷ সেই পরিস্থিতিতে আচার্যের তরফে এমন চিঠি কাম্য নয় বলে মনে করছে পরিষদ।”

উপাচার্যদের বক্তব্য, আচার্যের কাছ থেকে আসা চিঠির ভাষা খুবই অপমানজনক। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ না পেলে উপস্থিত থাকার প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন উপাচার্যরা৷

প্রসঙ্গত, UGC ঘোষণা করেছে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক। পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের সরকার জানিয়ে দিয়েছে মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, শুধু করোনা নয়, আমফান পরবর্তী অবস্থায় অনেক কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে এবং ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব ছাত্রছাত্রীর হাতে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। তার ফলে তারা অনলাইনে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আর সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।

Previous articleফের শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল যুব নেতা
Next articleসম্বর্ধিত মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম দেবস্মিতা মহাপাত্র