রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে সরাসরি উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকের কোনও অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেই এর উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যপালের অভিযোগের জবাবে জানাল শিক্ষা দফতর। রাজ্যপালের অভিযোগের জবাবে শিক্ষা দফতর জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ও আচার্যের মধ্যে যোগাযোগটা রাজ্য সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে। এক্ষেত্রে শিক্ষা দফতর মারফৎ যোগাযোগ করতে হবে।

ভার্চুয়াল কনফারেন্স এ পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য উপাচার্যরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবলেন না। তাঁরা বৈঠকে থাকেননি। (1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 15, 2020
পাশাপাশি, আচার্যের কোন সচিবালয় থাকতে পারে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। এটিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আইনের 8(5) নম্বর ধারায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোনও অভিযোগ থাকলে রাজ্যপাল তথা আচার্যকে সেটি শিক্ষা দফতরে জানাতে হবে। তারাই বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। রাজ্যপালের অভিযোগের জবাবে একথা জানাল রাজ্য শিক্ষা দফতর। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, রাজ্যপালের এই ধরনের অভিযোগে তারা বিস্মিত।
জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই আচার্য হিসেবে তাঁর ভূমিকা অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে বুধবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেখানে কোনও উপাচার্য উপস্থিত থাকেনি। এই এই ঘটনাকে অত্যন্ত অপমানজনক বলে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরকে জবাবদিহিও করেন তিনি। টুইট করে রাজ্যপালের অভিযোগের জবাব দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
