ব্যতিক্রমের প্রচারে যেন হাসপাতালের লড়াই ঢাকা না পড়ে। কুণাল ঘোষের কলম।

কুণাল ঘোষ

করোনা চিকিৎসায় সম্প্রতি শীর্ষে আসছে নানা খবর।
1) হাসপাতালের বেড সমস্যা।2) একাধিক হাসপাতালে ঘুরে মৃত্যু।
3) মৃত্যুর খবর আত্মীয়ের সময়মত জানতে না পারা।

এই ঘটনাগুলি ঘটছে। বাস্তব।
মানুষের স্বার্থে এই খবরের প্রচার দরকার। যাতে সবার নজরে পড়ে। যাতে সাবধান হওয়া যায়।

কিন্তু, এটাও মানতে হবে, এই হাসপাতালগুলিতেই চিকিৎসা চলছে অসংখ্য মানুষের। সুস্থতার হার বাড়ছে।
সরকার বেড বাড়াচ্ছেন।
ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আপ্রাণ লড়াই দিচ্ছেন।

এতবড় বিপদের জন্য কেউ তৈরি ছিল না। সারা বিশ্বের প্রথম অভিজ্ঞতা। বড় বড় দেশ হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের অন্য রাজ্য টাল খাচ্ছে।

এই যুদ্ধকালীন সময়ে একটি ভুলও দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু একটি ভুল শেষ কথা নয়। ব্যতিক্রম আসলে নিয়মেরই প্রমাণ করে।

ভুল হলে খবর ছাপা হবে।
কিন্তু তার মানে কখনই মূল ব্যাপক লড়াইটাকে অস্বীকার করা নয়।
যাঁরা বিপদের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণপাত করছেন, তাঁদের লড়াইকে স্যালুট।

যাঁরা দুএকটি ভুল বা অঘটনকেই শুধু প্রচারে রাখছেন, একমত নই।

আবার যাঁরা সরকারের গুণ গাইতে ভুলগুলিকে ব্ল্যাকআউট করছেন, তাঁদের ধিক্কার জানাই।
মূল লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েই অঘটনের যথাযথ উল্লেখ থাকা দরকার।

আমার প্রস্তাব:
1) হাসপাতালগুলির সামনে সহায়তাক্যাম্প শুরু হোক। সরকার করুক। রাজনৈতিক দল করুক। দূর থেকে আসা অসহায় মানুষের যেন হয়রানি না হয়। স্থানীয় সাংসদ, বিধায়করা নজরদারি করুন।

2) হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদ হাসপাতালের যেখানে বড় ভবন আছে, অবিলম্বে তার একাংশে আপৎকালীন করোনা ওয়ার্ড করা হোক। এতে কলকাতার মধ্যেও অনেক জায়গা বেরোবে।

3) বেসরকারি হাসপাতালের উপর কঠোরতম নজরদারি হোক। হয়রানি থেকে বিপুল খরচ; বেশ কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ আসছে। বাড়ছে।

আসলে করোনা রোগের থেকেও এখন মানুষ ভয় পাচ্ছেন তার চিকিৎসাজনিত হয়রানিকে।
সরকার এই দিকটা দেখুক।

 

Previous articleকম খরচে নমুনা পরীক্ষার কিট তৈরি হলো ভারতে, নেপথ্যে আইআইটি দিল্লি
Next articleআচার্য-উপাচার্যদের বৈঠকের অনুমতি নেই: ধনকড়কে জবাব শিক্ষা দফতরের