HS নম্বর নিয়ে খিল্লি করবেন না, আগে বাস্তবটা দেখুন

বিকাশ মাহাতো

উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট ও ট্রোল।

এই রেজাল্ট দেখার পর বা মূল্যায়নের আগে মাথায় রাখবেন, আমাদের ফোর্টিন জেনারেশনেও কোন পরীক্ষার্থীদের এরকম করোনার মত অতিমারিকে দেখতে হয়নি কিংবা ভয়াবহ ব্যাধির কবলে পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায়নি।….
রেজাল্টের বিকেলে হঠাৎ এক ফেসবুক পোষ্ট এ চোখ পড়ল।
কেউ একজন শেয়ার করেছেন, ইতিহাসে ১০০ তে ১০০? এটা আবার হয় নাকি? ইতিহাসের ছাত্র কি পলাশীর যুদ্ধের উত্তরপত্রে যুদ্ধের ভিডিও ক্লিপ্স আটকে দিয়েছিল?
বা, কী চমকপ্রদ আমাদের অট্টহাসি। এটা কি নিছকই মিম নাকি আমাদের নাম্বার না পাওয়ার হতাশাকে ঠাট্টা করে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া।
হবে নাই বা কেন? অংকে ১০০ অনেকেই পেয়েছে। সেখানে কোন প্রশ্নই নেই। তাহলে ইতিহাসে কেন? আসলে আজ থেকে ৫-৭ বছর আগেও যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভরতি হত।কলেজের ভরতি তালিকায় দেখত সিবিএসই বা আইসিএসই বোর্ড থেকে আসা ছেলেমেয়েদের নাম থাকত অনেক উপরে। কারণ প্রশ্নের ধাঁচ অনুযায়ী তাদের স্কোর বেশি হত।
বিগত কয়েক বছরে প্রশ্নের ধরণ,মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সর্বভারতীয় কাঠামোর সংগে সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে। দু’দিন আগে সিবিএসই র লক্ষনৌ এর এক পড়ুয়া ৬০০ এর মধ্যে ৬০০ পেয়েছে। কেউ ট্রোল করেনি। আর আমাদের ৪৯৯/৫০০ হতেই ঢাকঢাক গুড় গুড়৷ নতুন প্রজন্মের এই নাম্বার প্রাপ্তিকে অকারণ বিদ্রুপ নয়,সাহায্য করুন।
একটা বাস্তব কথা বলে শেষ করি।
@২০১৫ সালে যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে, তারা ২০২০ এর পাশ করাদের উদ্দেশে বলছে,ধুর এখন নাম্বারের কোন ছিরি আছে নাকি। আমাদের সময় আসল নাম্বার উঠত
@ ২০০৫ এ যারা পাশ করেছে, তারা ২০১০ বা ১৫ এর ছেলেমেয়েদের বলে, ধুত এখন সাব্জেক্টের কোন ছিরি আছে? আমাদের সময় আসল রেজাল্ট হত
@ আবার যারা ২০০০ এ যারা পাশ করেছে, তারা খিল্লি খেয়েছে ১৯৯৫ এর ব্যাচ এএ কাছে। অনুরূপ ভাবে যারা ১৯৯৫ এ পাশ করেছে তারা খিল্লি খেয়েছে ১৯৯০ এর ব্যাচের কাছে৷ এভাবে তুলনা করে যান, দেখবেন আপনার দাদুও বলছে, ধুর আসল রেজাল্ট হত ৭০ এর দশকে। আসলে এই ভালো পড়াশোনা আর ভালো রেজাল্ট এটা বড্ড আপেক্ষিক।
তাই ট্রোল নয়, নবীন প্রজন্মকে ভালোবাসুন।

Previous articleভার্চুয়াল রকে প্রবাসী ভক্তদের ২৯ জুলাই ঐতিহাসিক মোহনবাগান দিবস উদযাপন! আপনাকেও স্বাগত
Next article২৩ জুলাই ছাড়া হাইকোর্ট ফের বন্ধ