Sunday, August 24, 2025

অদম্য জেদে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ বছর ৫২-র প্রৌঢ়া

Date:

Share post:

টানা ২ বছর স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করেছেন তিনি। একদিকে সামলেছেন সংসার। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার অদম্য জেদ। ইচ্ছাশক্তির জেরে উত্তীর্ণ হয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক তিনি। ৫২ বছর বয়সী প্রতিমা চক্রবর্তী এবার কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা প্রতিমা চক্রবর্তী। গতবছর নাতনীর বয়সী মেয়েদের সঙ্গে রোজ স্কুলে গিয়ে ক্লাস করেছেন তিনি। সকাল দশটা বাজতে ইউনিফর্ম পরে পৌঁছে গিয়েছেন স্কুলে। বাড়ি ফিরে রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কষ্টের ফল স্বরূপ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ২৫৯।

কিন্তু হঠাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দিতেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। সি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। তারপর আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রতিমা চক্রবর্তী দুই ছেলে উচ্চ শিক্ষিত। একজন আইনজীবী অন্যজন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। একটি বড় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তাঁর স্বামী। প্রতিমা চক্রবর্তী জানান, “ছেলেরা যখন স্কুলে যেত, তখন মনে হতো আমিও যদি যেতে পারতাম। বড় ছেলে বলেছিল আমি তোমাকে আবার পড়াব।”

প্রতিমা চক্রবর্তীর বড় ছেলে আইনজীবী অয়ন গঙ্গোপাধ্যায় জানান,”২০১৭ সালে একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাকে মাধ্যমিকের কোর্সে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। ওই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক দেওয়া নির্বিঘ্নে হলেও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে সমস্যা হয়। বহু স্কুল সেই সময় মাকে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। শেষপর্যন্ত রহড়া আইডিয়াল আকাডেমি ফর গার্লসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রধান শিক্ষিকা পূর্ণিমা চৌধুরি প্রচুর সাহায্য করেছেন। শেষমেষ ওই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন মা।”

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...