অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত বেড়ে ২১০

অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। গত দু’ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে অসমের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে।
অসম স্টেট ডিজাজটার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি (ASDMA) জানিয়েছে, বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের ৩০টি জেলায়।
দিনে দিনে বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ছে। অসমের বন্যার জেরে হাজারে হাজারে হেক্টর জমির ফসল জলে ভেসে গিয়েছে। ৩০ জেলার বহু এলাকা এখন জলমগ্ন। ঘর ছেড়ে অধিকাংশই এখন আশ্রয় শিবিরে।গোটা অসমে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠছে, তখন বন্যা পরিস্থিতিও আরও ভয়াবহ আকার নেওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। রাজ্যের কাছে দুটোই কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি বলেছেন, এখনও মানুষ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে।
বন্যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১০। ৪৮ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের হয়েছেন ।
অসমে বন্যার জেরে ১ লাখ ৯ হাজার ৬০০হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল জলে ভেসে গিয়েছে। অসম স্টেট ডিজাজটার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি জানিয়েছে, বন্যার জলের তলায় এখন ২ হাজার ২৫৪টি গ্রাম। তারা আরও
জানিয়েছে, অসমের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধীমাজি, কোকরাঝাড়, ধুবরি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, দারাং, বকসা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, মরিগাঁও, নগাঁও,গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগঢ়, তিনসুকিয়া ও কাছাড় জেলা।
টানা প্রবল বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এমনকি ফুঁসতে শুরু করেছে বরাক, বুরাদিয়া নদীও। ফলে আরও পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ছে অসমে। কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাও বন্যার কবলে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যায় বিধ্বস্তদের সাহায্যের জন্য ২৭৬টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। ১৯২টি ত্রাণ বিলি সেন্টার করা হয়েছে ।
বন্যায় বিপর্যস্ত গোয়ালপাড়ায় প্রায় ৪.৫৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বরপেটায় ৩.৩৭লক্ষ মানুষেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত । অন্যদিকে বন্যার জলে মরিগাঁও জেলায় ৩.৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার সর্বতোভাবে দুর্গতদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।

Previous articleভাইরাস আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ
Next articleআইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও টুইটারের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা সুপ্রিম কোর্টের