সংগঠন আরও মজবুত করতে আজ ভিডিও বৈঠকে মমতা, থাকতে পারে চমক

সঠিক সময়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হলে হাতে বিশেষ সময় নেই৷ তৃণমূলের লক্ষ্য, জয়ের হ্যাটট্রিক৷ একুশের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করার৷

লড়াইয়ের এই সুর বেঁধে দেওয়ার পর এবার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দলীয় বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে৷ বাছাই করা রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতা ও জেলার পদাধিকারীদের নিয়ে মমতার এই বৈঠক৷ রাজ্যের উন্নয়নকে সামনে এনে এখন থেকেই শুরু হবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার৷

সংগঠনে যেটুকু ফাঁক রয়েছে, তা মেরামত করে নিতেই আজকের এই বৈঠক৷ তাই তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷

তৃণমূল অন্দরের খবর, যোগ্য কর্মীদের দলের সামনের সারিতে নিয়ে আসা হবে। দলের প্রতি যাঁদের আনুগত্য কমছে, যাঁদের দলত্যাগ করার অভিপ্রায় ফাঁস হয়েছে, তাদের সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে৷
একাধিক জেলায় দলের নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকেও আজ বিশেষ নজর দেওয়া হবে৷

এদিকে সূত্রের খবর, আজ বৈঠকের পর. দলনেত্রীর ঘোষণায় একাধিক চমক থাকতে পারে৷

১) দলের রাজ্য কমিটিতে নতুন ‘কার্যকরী সভাপতি’ পদ সৃষ্টি করে দায়িত্বে আনা হতে পারে কোনও জনপ্রিয় নেতাকে৷

২) লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফল একদমই ভালো হয়নি।
উত্তরবঙ্গের সবক’টি জেলার সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে৷ ‘বসে যাওয়া’ পুরনো নেতারা দায়িত্বে ফিরতে পারেন৷

৩) কয়েকজন মন্ত্রী একইসঙ্গে দলের জেলা কমিটির দায়িত্বেও আছেন৷ কিছু ক্ষেত্রে দায়িত্বের রদবদল হতে পারে৷

৪) কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষক বদল করা হতে পারে৷

৫) বিভিন্ন শাখা সংগঠনের রাজ্য কমিটি পুনর্গঠিত হতে পারে৷

৫) বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে দলের কিছু সাংসদকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে৷

৬) মন্ত্রিসভার কিছু সহকর্মীর দপ্তর রদবদলের বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷

এছাড়াও দলের সর্বস্তরের নেতাদের বিশেষ কোনও নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী৷

Previous articleবিজেপির কলকাতা উত্তরের পর্যবেক্ষক অর্জুন, হাওড়া টাউনে সব্যসাচী, সব জেলায় নতুন মুখ
Next articleদেড় মাস পরে ফের লকডাউন, কড়া হাতে পুলিশি নাকা চেকিং