মধুচক্রের পাণ্ডা সোনুর ২৪ বছরের কারাদন্ডের ঘোষণা আদালতের  

একের পর এক অপরাধ। কখনও মধুচক্র চালানো, কখনও আবার কমবয়সী মেয়েদের অপহরণ, পাচার ও দেহব্যবসার মতো কাজ করেছে সে। গীতা অরোরা ওরফে সোনু পাঞ্জাবন দেহ ব্যবসায় জোর করে নামিয়েছিল এক ১২ বছরের কিশোরীকেও। এই অভিযোগে বুধবার দিল্লির দ্বারকা আদালত ২৪ বছরের কারাদন্ডের সাজা দিল। একই সঙ্গে ৬৪ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।

২০০৯ সালে ১২ বছরের এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ভুলিয়ে নিয়ে আসে সোনু ঘনিষ্ঠ সন্দীপ। এরপর সীমা নামে এক মহিলার কাছে রেখে দেয় তাকে। ওই কিশোরী সন্দীপের নামে ধর্ষণের অভিযোগ আনে। সন্দীপ সীমা নামের ওই মহিলার কাছে কিশোরীকে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ। সীমা ওই কিশোরীকে দেহব্যবসায় নামায়। এরপর বিক্রি করে দেয় সোনু পঞ্জাবনের কাছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে সোনুকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা জুড়ে সোনু দেহব্যবসার চক্র ছড়িয়েছিল।

ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৮, ৩৪২, ৩৬৬এ, ৩৭২, ৩৭৩, ১২০বি ধারায় মামলা করা হয়েছিল সোনুর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ইমমরাল ট্রাফিকিং (প্রিভেনশন) অ্যাক্টের ৪,৫ ও ৬ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। সোনুর ঘনিষ্ঠ সন্দীপ বেদওয়ালকে সাজা শুনিয়েছে দ্বারকা আদালত। সন্দীপকে ২০ বছরের জেল ও ৬৪ হাজার টাকার জরিমানার সাজা দিয়েছে এদিন আদালত। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৬, ৩৬৬এ, ৩৭২, ৩৭৬ ও ১২০বি-র ধারায় মামলা করা হয়েছিল।

Previous articleভাইরাস সংক্রমিত হতে পারেন বলেই জামিন পেলেন সুমন চট্টোপাধ্যায়  
Next articleথানা থেকে উধাও বন্দুক! অস্ত্রের কারবারি গ্রেফতার