লে থেকে দিল্লি : হাজার কিলোমিটার দূর থেকে মাতৃদুগ্ধ এসে পৌঁছয় শিশুর কাছে

এক যাত্রীর থেকে মাতৃদুগ্ধ নিচ্ছেন জিকমেত ওয়াংসুক

অতিমারি ও বিরল রোগের কারণে মা এবং এক মাসের শিশুর মধ্যে তৈরি হয়েছে হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব। এক জটিল রোগে আক্রান্ত ওই শিশু। তবে মা ও শিশুর মধ্যে হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব তৈরি হলেও বঞ্চিত হয়নি মায়ের দুধের থেকে। লে থেকে দিল্লি, স্রেফ ইচ্ছাশক্তির জোরে মাতৃদুগ্ধ এসে পৌঁছচ্ছে সেই শিশুর কাছে।

গত ১৬ জুন জম্মু ও কাশ্মীরের লে’র একটি হাসপাতালে জন্ম হয় ওই শিশুপুত্রের। জন্মের পরই মা দোরজে পালমো খেয়াল করেন, শিশু মাতৃদুগ্ধ খেতে অক্ষম। চিকিৎসকদের পরামর্শে দু’দিন পর অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দিল্লি এসে পৌঁছন। নিজের কর্মস্থল মাইসুরুর থেকে চলে আসেন শিশুটির বাবা জিকমেত ওয়াংসুক। এরপর তাকে শালিমার বাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হর্ষবর্ধন জানান, এই সদ্যোজাত বিরল রোগে আক্রান্ত। এই রোগে খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী একসঙ্গে জুড়ে থাকে। চারদিনের শিশুটির তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়। শিশুটিকে সুস্থ করতে মায়ের দুধের প্রয়োজন হয়।

অন্যদিকে অতিমারি সংক্রমণের কারণে অসুস্থ মাকে দিল্লি আনা সম্ভব ছিল না। এই কঠিন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন লে বিমানবন্দরে কর্মরত ওয়াংদুসের কয়েকজন বন্ধু। একটি বেসরকারি সংস্থার বিমানে রোজ বাক্সবন্দি মায়ের দুধ দিল্লি এসে পৌঁছয়। প্রতিদিন কোনও না কোনও এক সহৃদয় যাত্রী তা নিয়ে আসেন। এর জন্য বিমান সংস্থাকে কোনও টাকা দিতে হয় না। রোজ একই সময়ে দিল্লি বিমানবন্দরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে ওয়াংদুস অপেক্ষা করে। এমনটা চলছে প্রায় মাসখানেক ধরে।

Previous articleকেন্দ্র দরিদ্র- বিরোধী, ‘শ্রমিক স্পেশাল’ থেকেও আয় ৪২৯ কোটি, অভিযোগ রাহুলের
Next article“ইন্ডাস্ট্রিতে একটি গ্যাং আমাকে কোণঠাসা করেছে”: বিস্ফোরক এ আর রহমান