লঙ্কার ঝালে নয় বরং দাম শুনে চোখে জল আসছে মধ্যবিত্তের। একদিকে একটানা বৃষ্টি আর একদিকে ডিভিসির ছাড়া জল, এই দুইয়ে মিলে ভেসে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলা। ফল ভুগতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে। যে লঙ্কা দুদিন আগেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল ১০০ টাকা কেজি দরে , সেই লঙ্কাযই আজ সপ্তাহের প্রথম দিনে বাজারে বিকিয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জোগান না বাড়লে লঙ্কার দাম এই মুহূর্তে নিচের দিকে নামার লক্ষণ নেই ।আগামী কয়েক সপ্তাহ লঙ্কার ঝাঁঝে যে চোখের জলে নাকের জলে হতে হবে মধ্যবিত্তকে।
প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারেও। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সবজির চাষে প্রভাব পড়ায় বাজার আগুন। শুধু কাঁচালঙ্কা নয়, একাধিক সবজির দাম বেড়েছে । দাম বেড়েছে পটল, পেঁপে, বেগুন, উচ্ছে, ফুলকপি, কাঁকরোল, কুমড়োর।
আবার উত্তরবঙ্গে এর বিপরীত চিত্র । কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সবজির খেতগুলি জলে ভরে গিয়েছে।ফলে চাষিরা সবজি খেতে ঢুকতে পারছেন না। বাজারগুলিতে আমদানি নেই বললেই চলে। এই সুযোগে সবজির দাম বেড়ে আকাশছোঁওয়া। পরিস্থিতি বদল না হলে সবজির বাজার দর আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি খুচরো সবজি ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লাগাতার বৃষ্টিতে বেশকিছু সবজি ও লঙ্কার খেত তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন মার খাচ্ছে। ফলে কাচা লঙ্কা, পটল, ঢেরশ, করলা, ঝিঙ্গে সহ বিভিন্ন লোকাল শাক সবজির দাম অনেকটাই বেড়েছে।
কলকাতার বিভিন্ন বাজারগুলিতে কাঁচা লঙ্কা আজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি । ঝিঙে, পটল, করলা, ঢেরশ খুচরো বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁয়াজ ৩৮ টাকা কেজি দরে আজ বিক্রি হয়েছে। লোকাল টমেটো আজ বাজারে দেখা যায়নি। ফলে চালানি টমেটো আজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
পাইকারি বাজারে সবজির দর-
আদা ১৫০ টাকা প্রতিকিলো, কুমড়ো ৩০ টাকা প্রতিকিলো, বেগুন ৮০ টাকা প্রতিকিলো, গাজর ৬০ টাকা প্রতিকিলো, বাঁধা কপি ৩০ টাকা প্রতিকিলো, ফুল কপি প্রতি পিস ২৫-৩৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা প্রতিকিলো, করলা ৫০ প্রতিকিলো।
খোলা বাজারে জ্যোতি আলু – ৩২ টাকা প্রতিকিলো, চন্দ্রমুখী আলু ৩৬ টাকা কিলো। পটল – ৬০ টাকা প্রতিকিলো, ঢেঁড়স – ৬০ টাকা প্রতিকিলো ।
বেড়েছে মাছের দাম । প্রতিকেজি রুই (গোটা) ২০০-২৫০ টাকা। রুই (কাটা) ২৫০-৩০০ টাকা, কাতলা (গোটা) ২৮০টাকা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য মাছের দাম। সব মিলিয়ে লকডাউনের বাজারে হাত দেওয়ার আগে দশবার ভাবতে হচ্ছে ।